স্টাফ রিপোর্টার ঃ— শরীয়তপুর জেলা গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের ঢাকের হাঁটি গ্ৰামের ডাঃ আঃ জলিল সরদারের ছেলে ইলিয়াস কাঞ্চন টিটু্র রহস্যজনক মৃত্যু হয় গত ৪ই সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে । ৫ই সেপ্টেম্বর সকালে টিটুর স্ত্রী তার শয়নকক্ষে টিটুর লাশ দেখতে পায় পরে নিহতের পিতা বাদি হয়ে গত ৫ ই সেপ্টেম্বর গোসাইরহাট থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন। মামলা নং ১৮ তাং ০৫/০৯/২০২০ ইং পরে গত ১৮ই সেপ্টেম্বর একেই থানায় ১৩ জনকে আসামী করে আরেকটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার কামিল তৃতীয় বর্ষের ছাত্র জাহিদ খাঁনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন গোসাইরহাট থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত জাহিদ খাঁন গোসাইরহাট থানার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের ছোট কাচনা গ্রামের মৃত আঃ মান্নান খাঁনের ছোট ছেলে।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায় স্থানীয়রা বলেন
ডাঃ আঃ জলিলের ছেলে ইলিয়াস কাঞ্চন টিটুর মৃত্যু হয় ৪ই
সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে মৃত্যুর পর শুরু হয় নানা গুঞ্জন। কেউ বলে স্ট্রোক করে মারা গেছে আবার কেউ অপমৃত্যু সহ হত্যা কান্ড। এই বিষয়ে ডাক্তার আব্দুল জলিলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন। আমার ছেলের মৃত্যুর সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না খবর পেয়ে বাড়িতে এসে জানতে পারি। আমার ছেলের কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তা আমি জানিনা। আমার ছেলের ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর কারণ জানতে পারলে কেউ হত্যা করে থাকলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো। পরে থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালে পাঠায় এবং আমি নিজে বাদী হয়ে গোসাইরহাট থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করি। আমার বাড়ির লোকজনের সাথে কথা বলে আমার সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের নামে আরেকটি মামলা করার জন্য থানায় গেলে থানা পুলিশ মামলা নিতে রাজি না হওয়ায় বাধ্য হয়ে আদালতে সাহায্য নিয়ে আদালত থেকে অনুমতি এনে ১৩ জনকে আসামী করে থানায় আর একটি হত্যা মামলা দায়ের করি মামলা নং ০৯ তাং ১৮/৯/২০২০ইং এই হত্যা মামলায় দুই নাম্বার আসামী জাহিদকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ আর বাকিরা পলাতক রয়েছে । আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই আমি অথবা আমার পরিবারের কেউ যদি জরিত থাকে তাহলে তাকে ও আইনের আওতায় আনা হোক।
কিন্তু আসামিপক্ষের পরিবারের দাবি তারা এই ঘটনার সাথে জড়িত নয় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাদেরকে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামি জাহিদের মা বলেন আমার ছেলে কখনো মানুষ মারতে পারেনা রাজনীতি নিয়ে আমার আরেক ছেলে মোজাম্মেলের সাথে বিরোধ চলছিল তার জেরে আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায় তারা বলেন জাহিদ খান একজন ভালো ছেলে সে মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে মসজিদ তৈরি করার জন্য সে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে সে কখনো এরকম কাজ করতে পারে না। রাজনৈতিক কারণেই তাকে ফাঁসানো হয়েছে। এ বিষয়ে গোসাইরহাট থানার ওসি সোয়েব আলী বলেন এ ঘটনায় প্রথমে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করে আঃ জলিল বাদী হয়ে পরে আদালত থেকে অনুমতি নিয়ে ১৩ জনকে আসামি করে আর একটি হত্যা মামলা দায়ের করে আব্দুল জলিল। অপমৃত্যুর মামলার কথা আদালতকে জানানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ওসি সোয়েব আলী বলেন জানানো হয়েছে। আসামিপক্ষের অভিযোগ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার আগেই ( The cause of death kept pending until receiving preserved above mentioned visceral biochemical report)একই ঘটনায় একজন বাদী হয়ে একেই থানায় দুটি মামলা কিভাবে হয়।