নিজস্ব প্রতিনিধিঃ স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই মহান নেতাকে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে চিরতরে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে মুছে ফেলার জন্য। বঙ্গবন্ধুকে তার পরিবারের ২১ জন সদস্য সহ হত্যা করলেও বঙ্গবন্ধু রয়েছেন কোটি বাঙালির বুকের মনি কোঠায়। বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া সুযোগ্য কন্যা, বাংলার কোটি মানুষের প্রাণপ্রিয় নেত্রী, বিশ্ব মানবতার জননী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রিয় আপন জন হারানোর বেদনা নিয়ে দীর্ঘ নির্বাসন শেষে ৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশের মাটি স্পর্শ করে আওয়ামী লীগের পতাকা হাতে তুলে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ হাতে নিয়ে বাংলার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব কে সমুন্নত রেখতে এগিয়ে চলছে দূ্র্বার গতিতে । বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির দায়িত্বভার গ্রহণ করে উন্নীত করেছেন আজ অনন্য উচ্চতায়।
দেশের রাষ্ট্র প্রধান সৎ ও আন্তরিক থাকলে দেশের উন্নয়ন হয় তার প্রমাণ জাতির পিতার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রমান করেছেন ।। শেখ হাসিনা বারবার একটি কথা বলেন, ‘আমরা যেহেতু মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করেছি তাই কোনো বিজয়ী জাতি কখনো মাথা নত করে থাকতে পারে না। ‘
তাই তো আমরা দেখি যুদ্ধাপরাধী, যারা বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাই শুধু করেনি, হত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুট ও ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধ করেছিল তাদের বিচার করেছেন তিনি। আর এই বিচার বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপি-জামায়াতসহ দেশি-বিদেশি নানা মহল দেশরত্ন শেখ হাসিনার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চেয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার দৃঢ় সাহসিকতায় সেটা সম্ভব হয়নি।
করোনাকালে দেশ ও জাতিকে রক্ষায় বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা একাই লড়াই করে যাচ্ছেন। তবে এই একা লড়াই তার জীবনে প্রথম নয়। বরং সারা জীবন দলে ও দলের বাইরে তাকে মূলত একাই লড়তে হয়েছে। আর এই লড়াইয়ের শুরু তার ছাত্ররাজনীতির জীবন থেকেই। শেখ হাসিনার ছাত্ররাজনীতির যোগ্যতা প্রমাণ করে এসেছেন। তাই ছাত্ররাজনীতিতে তাকে এগোতে হয়েছিল পদ-পদবি ছাড়াই। ছাত্ররাজনীতি শেষে সক্রিয় রাজনীতি থেকে তাকে দূরে থাকতে হয়েছিল কিছুদিন স্বামীর উচ্চশিক্ষার কারণে।
সে সময়েই তার এবং জাতির জীবনে আসে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়। সপরিবারে নিহত হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রবাসে বসে এ ভয়ানক দুঃসংবাদটি পান বঙ্গবন্ধু-কন্যা। অত্যন্ত বেদনাদায়ক হলেও ভেঙে পড়েননি । আজ ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সে সময়েও তিনি দেশ ও জাতির জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সে সময়ে বাংলাদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনকে প্রবাসেই শেখ হাসিনা অনুরোধ করেছিলেন আপনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে একটি বিবৃতি দেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে যে সরকার গঠিত হয়েছে তা অবৈধ।
কিন্তু ড. কামাল কথা রাখেননি। সে সময়ে পৃথিবীর অনেক বড় নেতাই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকে মেনে নিতে পারেননি। তারা চাচ্ছিলেন বাংলাদেশের সরকারের ভেতর থেকে এবং সরকারি দলের ভেতর থেকে এর একটা প্রতিবাদ হোক। তাছাড়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ উঠলে ইউরোপের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর নেতা ও জনগণ অবশ্যই সে প্রতিবাদকে সমর্থন করতো, সমর্থন মিলতো আমেরিকার গণতন্ত্রকামী জনগণেরও।
১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনার দেশে ফেরায় বাংলাদেশে একটা পরিবর্তন শুরু হয়। প্রকাশ্যে যা ঘটেছিল তা ছিল জনসমাগম। প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে সেদিন ঢাকার রাজপথে যে মানুষ নেমে এসেছিল তা একটি গণঅভ্যুত্থান ঘটানোর জন্য যথেষ্ট ছিল। এর আগে কখনোই ঢাকায় এত জনসমাগম হয়নি। ওই বিশাল জনসভায় জনগণ শুধু একটি সুরই তুলেছিল; শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনা। এর ভেতর দিয়ে প্রমান হয়ে যায় আওয়ামী লীগের কর্মী, সমর্থক এবং স্বাধীনতার পক্ষের মানুষের নেতা আজ থেকে বঙ্গবন্ধু-কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।
২০০৭ সালের ১/১১-এ সামরিক বাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে যখন দেশকে বি-রাজনীতিকরণের চেষ্টা করে ওই সময় একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া সকল রাজনৈতিক নেতাই তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। তখন দেশের মানুষ চাক্ষুষ প্রমাণ পায় বাংলাদেশে একমাত্র সাহসী ও আপসহীন রাজনৈতিক নেতা শেখ হাসিনা। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু-কন্যা টানা তৃতীয় মেয়াদে বাংলার মানুষের সমর্থন নিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসেন । বাংলার মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধু-কন্যার প্রতি জাতির আস্থা-বিশ্বাস বিশ্বের যেকোনো জনপ্রিয় নেতাকেই হার মানিয়েছে। আস্থা-বিশ্বাসের সঙ্গে সর্বস্তরের জনসাধারণের শ্রদ্ধা-ভক্তি অর্জন শুধুমাত্র ইতিহাসের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুই অর্জন করতে পেরেছিলেন।
সর্বপরি মহান আল্লার কাছে দোয়া বাঙ্গালী জাতীর আস্থার প্রতিক বঙ্গকণ্যা শেখ হাসিনার সুসাস্থ ও দীর্ঘজীবী হোন ।
জয় বাংলা, – জয় বঙ্গবন্ধু, – জয়তু প্রাণপ্রিয় নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
.
……………………………… মোঃ জামাল উদ্দিন বাচচু ।
যুগ্ম স্বাধারন সম্পাদক – বঙ্গবন্ধু পেশেজীবী পরিষদ , কেন্দ্রীয় কমিটি ।
এই ক্যাটাগরীর আরও খবর..