নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাবা মা সন্তানের কাছে সবচেয়ে প্রিয় আপন জন। কারণ সন্তান যখন ছোট্ট শিশু থাকে একটু অসুস্থ হলে বাবা-মা রাতের ঘুম নির্ঘুম করে সন্তানকে সুস্থ করে তোলে। ঠিক তেমনি বাবা-মায়ের আদর্শে গড়া সুশিক্ষিত সন্তান হলে, বাবা মায়ের অসুস্থতায় সন্তানও চিন্তিত হয়ে পড়ে। কিভাবে বাবা মাকে সুস্থ করে তুলবে। করোনাভাইরাস এমন একটি মহামারী রোগ, যার কারণে সন্তানও বাবা-মার অসুস্থতায় কাছে এসে হাত বুলিয়ে আদর করতে পারেনা। এই মহামারি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ায়, করোনা জয়ী নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য মোস্তফা হোসেন চৌধুরী ও তার সহধর্মিণী করোনা থেকে আরোগ্য লাভ করায় বাবা-মাকে দীর্ঘদিন পর কাছে পেয়ে ফুলের মালা দিয়ে কাছে টেনে নিল মোস্তফা হোসেন চৌধুরীর ছেলে ও মেয়ে।
তিনি করোনা মহামারী শুরুলগ্নে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া এবং স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণকারী পঞ্চাশের অধিক লাশ দাফন করে একজন করুণা যোদ্ধা হয়ে মানব সেবায় বিশেষ অবদান রেখেছেন। সেই নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য মোস্তফা হোসেন চৌধুরী ও তার স্ত্রী গুলশান আক্তার স্নিগ্ধা করোনার চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
দীর্ঘ ২০ দিন তারা ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনার সাথে যুদ্ধ করে গত ২৯ সেপ্টেম্বর করোনামুক্ত হয়েছিলেন। এক সপ্তাহ আগে করোনা মুক্ত হলেও চিকিৎসকের পরামর্শে গত ৬ দিন তারা হাসপাতালের আইসোলোশনে ছিলেন। অবশেষে আজ সোমবার (০৫ অক্টোবর) তারা হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে এসেছেন।
মোস্তফা চৌধুরী জানান, তাঁরা দুজনে গত ২৯ সেপ্টেম্বর করোনা মুক্ত হলেও ডাক্তারের পরামর্শে আইসোলোশনে ছিলেন। পূর্ণ সুস্থ হয়ে আজ তারা বাড়ি ফিরেছেন। একইসাথে তিনি মহান আল্লাহ তায়ালা’র প্রতি শুকরিয়া আদায় করেন এবং সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য টিম মোস্তফা-১৯ নামে একটি টিম গঠন করে গত দুই মাসের অধিক সময় ধরে জনসাধারণের মাঝে করোনা ভাইরাস বিষয়ে সচেতনতা মূলক কার্যক্রম, দুঃস্থদের মাঝ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ এবং সাহসিকতা নিয়ে করোনাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী পঞ্চাশ জনের বেশী মৃত ব্যক্তির দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করে ব্যাপক আলোরণ সৃষ্টি করে। একারণে অনেকেই তাঁকে মানবতার ফেরীওয়ালা বলে থাকে।