জনদরদি নেতা, মানব সেবক,ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আলহাজ্ব কামরুল হাসান রিপন এর একজন দক্ষ কর্মী মোঃ নুর হোসেন, সভাপতি, ৬নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মুগদা থানা, ঢাকা মহানগর দক্ষিন। কামরুল হাসান রিপন কে নিয়ে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে দেশ ও মানুষের বার্তা অনলাইন নিউজপোর্টাল কে মোঃ নূর হোসেন বলেন- পদবী পাওয়ার পর নেতারা লন্ডন-আমেরিকা ঘুরতে বেড়িয়ে যান। কেউ কেউ মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুর কিংবা কানাডাকে বানিয়ে ফেলেন তাদের ‘সেকন্ড হোম’। বিমান ধরে আকাশ পথের দৃশ্য হয়ে উঠে কমন। বড় বড় পাঁচ তারকা হোটেল আর নামী-দামী শপিং মলগুলোতে নিয়ম করেই আড্ডা-মাস্তিতে মেতে উঠার গল্পটা তো ডাল-ভাত। এটাই আসলে স্বাভাবিক। অনেক সাধনার পরেই যে পদ-পদবী মিলে আজ-কাল।
তবে এখানেও ব্যতিক্রম কামরুল হাসান রিপন। গুলশান-বনানীতে যাওয়ারও স্বপ্ন দেখেন না ভাই।
গত বছর বড় দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই দেখছি শুধু অলিতে-গলিতে দৌড়াতে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন-উপ-নির্বাচনে মানুষের দ্বারে দ্বারে মা-বোনদের কাছে গিয়ে ভোট চেয়েছেন দিন-রাত এক করে। গত বছর সবগুলো (আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলন, মহানগর উত্তর-দক্ষিণ কিংবা যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেস) সম্মেলনে কর্মীদের নিয়ে হাড়-ভাঙ্গা পরিশ্রম করেছেন। নিজের সম্মেলনে পরিশ্রমের কথা এখানে গোপনই থাকুক!
এরপর কনকনে শীতে রাতের আধারে শীতার্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
করোনাকালে মানবসেবায় রচিত করলেন অনুপ্রেরণার নতুন গল্প। কী করেছেন বলার চেয়ে বলতে হয় কী করেন নাই কামরুল হাসান রিপন? ছাত্রলীগের একজন নগন্য কর্মী হয়ে সেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ভাইকে চিনি। তবে করোনাকালে চিনলাম নতুন এক কামরুল হাসান রিপনকে। আমার মানবিক নেতাকে বুঝতে শিখলাম। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন কামরুল হাসান রিপন ভাইয়ের উপর বার বার আস্থা রাখেন? দুঃসময়ে কেন তার কাধে তুলে দেন বিশাল দায়িত্বের ভার?
মানুষ যখন আতংকে-ভয়ে ঘরবন্ধী জীবন-যাপন করছেন কামরুল হাসান রিপন তখন আওয়াজ দিয়ে রাজপথে।
‘আল্লাহর হুকুম ছাড়া একটি গাছের পাতাও নড়ে না’র বিশ্বাস নিয়ে ছুটে চললেন গরীব-দুঃখী, অসহায়, কর্মহীন, খেটে-খাওয়া, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে। মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ত্রানসামগ্রী, পবিত্র রমজান মাসে ইফতার কিংবা ঈদ উপহার যখন যা দেওয়ার দরকার সেটা নিয়েই বেরিয়ে পড়েছেন কামরুল হাসান রিপন। হয়তো এক মাসের কিংবা ১৫ দিনের খাবার দিতে পারেননি কিন্তু চোখের সামনেই দেখা এই শহরের হাজার হাজার মানুষের এক সপ্তাহের কিংবা ১০-১২ দিনের খাবার তাদের কাছে পৌছে দিয়েছেন প্রিয় ভাই। হাজার হাজার পরিবারের মাঝে এনে দিয়েছেন অন্যরকম আনন্দের কিছু মুুহুর্ত।
নিজের পরিবার, নিজের সন্তানের সময়টাকে বঞ্চিত করে অন্যদের আনন্দ উপহার দেওয়া কামরুল হাসান রিপনের একটা নেশা। এই নেশার ঘোরে ডুবে থেকেই ছুটে গিয়েছিলেন বন্যাদুর্গত মানুষের ভালোবাসা কুড়াতে। গরীব-দুঃখী, মেহনতি মানুষের সেবায় নিরন্তর ছুটে চলা এই মানষটাকে জানাই স্যালুট।
প্রিয় নেতা প্রিয় কামরুল হাসান রিপন ভাইয়ের নগন্য একজন কর্মী হয়ে আমি গবির্ত। আসলে কখনো বলার সাহস হয় নাই, আপনার ডাকে বুকটা প্রশস্ত হয়ে উঠে ভাই।