স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী ১৭ই অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা-০৫ আসনের উপ-নির্বাচন। আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া এই উপনির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে মনোনয়ন দেওয়া হয় কাজী মনিরুল ইসলাম মনুকে। আর নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে ঢাকা-০৫ আসনে মাঠে থেকে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন।
ঢাকা-০৫ আসনে এবার নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন ২০ জন। যার মধ্যে কামরুল হাসান রিপনও হেভিওয়েট প্রার্থী ছিলেন। নিজে মনোনয়ন না পেলেও দলের হাই-কমান্ডের নির্দেশ মেনে শুরু থেকেই মনিরুল ইসলাম মনুর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে নৌকার জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের এই শীর্ষ নেতা। সেই কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন কামরুল হাসান রিপন।
প্রচারণার শুরু থেকেই মনিরুল ইসলাম মনুকে সঙ্গ দেন সাবেক তুখোড় এই ছাত্রনেতা। এই সময়ে ঢাকা-০৫ আসনের যাত্রাবাড়ী, ডেমরা এবং কদমতলী (আংশিক) থানার ১৪টি ওয়ার্ডে নেতাকর্মীদের নিয়ে পথসভা ও গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করেন কামরুল হাসান রিপন। কখনও কখনও মনুকে সঙ্গে নিয়ে আবার কখনও কখনও তার নেতাকর্মীদের নিয়ে এককভাবেই গণসংযোগ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। এই সময়ে বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকা- এবং ইতিবাচক দিকগুলো জনসাধারণের কাছে তুলে ধরে নৌকা প্রার্থীর জন্য ভোট চান কামরুল হাসান রিপন।
কামরুল হাসান রিপন বলেন, ‘সুষ্ট নির্বাচন হলে অতীতের মতো এবারও ঢাকা-০৫ আসনে নৌকার জয় নিশ্চিত। কেননা, প্রচারণার সময় অত্র এলাকার সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে মিশেছি এবং তাদের অনুভূতিগুলো জানার চেষ্টা করেছি। অত্র এলাকার উন্নয়নে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ব্যাপক ভূমিকা। সেজন্যই তারা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবারও নৌকার উপর ভরসা রাখবে।’
শুধু প্রচারণা কাজের মধ্যেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি কামরুল হাসান রিপন। কাজী মনুর সঙ্গে নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে দায়িত্ব পালনকারী এমনকি স্থানীয় এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সকল ধরণের ঘরোয়া এবং মতবিনিময় সভাগুলোতে অংশগ্রহণ করেন তিনি। শুধু তাই নয়, নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে থানা, ওয়ার্ড এবং কেন্দ্র পর্যায়ে কমিটি গঠন করে দেন কামরুল হাসান রিপন। সেইসঙ্গে প্রতিটি ওয়ার্ডে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নির্বাচনী ক্যাম্প চালু করেন তিনি। যা ইতোমধ্যেই অত্রএলাকার মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে সাড়া পেলে।