রাহাদ হোসেন, প্রধান সম্পাদকঃপুলিশ জনগণের বন্ধু।একজন সৎ ও নির্ভীক পুলিশ অফিসার হিসেবে প্রতিনিয়ত কদমতলী থানা এলাকার জনগণের পাশে ছিলেন এবং আছেন ঠিক সেইজন্যই গত
১৮অক্টোবর-২০২০ইং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তর সন্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ডিএমপির সকল ইউনিটের মাসিক অপরাধ সভা সেপ্টেম্বর/২০২০খ্রিঃ উপলক্ষে অপরাধদমন এবং মাদক উদ্ধারে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ডিএমপির শ্রেষ্ঠ ওসির পুরস্কারে ভূষিত হলেন ডিএমপি কদমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জামাল উদ্দিন মীর পিপিএম।
শ্রেষ্ঠত্ব হওয়ার পুুরস্কার প্রসঙ্গে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আমার কাজটা দ্বায়িত্বের সাথে করি।
সর্বদা স্বচ্ছতার সাথে জবাবদিহিতার কথা মাথায় রেখে দেশ এবং জনগণকে সর্বোচ্চ গুরত্ব দিয়ে সেবাদানের মনমানসিকতা নিয়ে আমি আমার কাজটা করে যাই।
পুুরস্কারের কথা কখনো ভেবে দেখিনি আমি শুধুু আমার কাজটা করে যাই।
সাধারণ জনতা ইতিমধ্যে তাকে ডিএমপি কদমতলী থানার জনবান্ধব ওসির খেতাব দিয়ে দিয়েছেন।
ডিএমপি ওয়ারী জোনের ত্রিরত্ন
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিণীর চৌকস উর্ধ্বঃতন পুলিশ কর্মকর্তা সাবেক ডিসি মোঃ ফরিদ উদ্দিন ও বর্তমান ডিসি শাহ ইফতেখার মহোদয় এবং এডিসি নাজমুন নাহার মহোদয়ের আর্দশ বুকে ধারণ করে মোঃ জামাল উদ্দির মীর কদমতলী থানায় যোগদানের পরপরই থানার আইন-শৃঙ্খলায় যোগ হয় ভিন্ন মাত্রা এবং উম্মোচিত হয় এক নতুন দিগন্ত।
মাদক, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, ইভটিজিং, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে খুব কম সময়ের মধ্যেই তিনি সাধারণ জনতার কাছে আস্তাভাজন হয়ে ওঠেন।
বিশেষ করে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখিয়ে মাদকমুক্ত পরিবেশ গড়তে তিনি বদ্ধপরিকর।
মাদক কেনা-বেচার হাট বলে খ্যাত পূর্বকদমতলী মেরাজনগর পাকার মাথার গলি,দনিয়া,শনির আখড়া এবং শ্যামপুর ওয়াসার পুকুর পাড়ে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে দিন-রাত বিশেষ অভিযান চালিয়ে অল্পদিনের মধ্যে মাদকের স্পট বন্ধ করে জনতার আস্থার প্রতিদান দেন। সেইসাথে আদায় করে নেন সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা,ভালবাসা আর বিশ্বাস।
সেই থেকে সাধারণ মানুষ তাকে মনের গহীনে স্থান দিতে শুরু করেন। তার দূরদর্শী নেতৃত্ব অসাধু পুলিশদের চিহ্নিত করে তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তার সাথে তাদেরকে সরিয়ে নেন এবং তৎক্ষণাৎ সেখানে আর্দশবান সৎ অফিসার নিযুক্ত করেন। এমন সময়পোযোগী তড়িৎ সিদ্ধান্তে ভেঙ্গে পড়ে অপরাধীর মনোবল। তাই দিনকে দিন পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের আন্তরিকতা বাড়তে থাকে। তৈরী হয় পুলিশ জনতার সেতু বন্ধন। যাতে করে উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয় পুলিশের ভাবমুর্তি।
মোঃ জামাল উদ্দিন মীরদের মত ভাল মানুষ এই ধরণীতে কালেভদ্রে খুব কম জন্মায়। কালজয়ী এমন মানুষদের সঙ্গে পরিচয়ের পর সখ্য গড়ে ওঠেনি এমন মানুষ খোঁজে পাওয়া ভার।
অসাধারণ ব্যাক্তিত্বের অধিকারী সদাবিনয়ী, স্পষ্টভাষী, সদালাপী, সাদাসিদে, নিরঅহংকার, কর্তব্যপরায়ণ, দ্বায়িত্বশীল, পরোপকারী, অসীম ধৈর্যশীল, ধর্মপরায়ণ সাদামনের এই মহান মানুষটি অসহায়, গরীর-দুঃখী ও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে হয়ে উঠেছেন জনতার আস্থার প্রতীক। তাই সাধারণ জনতা তাকে আজ কদমতলী থানার জনবান্ধব ওসি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
এমনকি পুলিশ বাহিণীর উর্ধ্বতন ও অধঃস্তন সকলের কাছে তিনি সমান জনপ্রিয়।
এই চৌকস পুলিশ কর্তাব্যক্তিটির কথা বলতে গিয়ে তার অধিনস্থ অনেক কর্মকর্তা বলেন আইন-শৃঙ্খলা সম্মুনত্ব রক্ষায় মোঃ জামাল উদ্দিন মীর স্যারের অসাধারণ নেতৃত্বগুণ তাদেরকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। যা তাদের সবাইকে আগামীর পথ চলতে সাহায্য করবে। এমন অসাধারণ একজন ভাল মানুষের সাথে কাজ করতে পেরে তারা নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন এবং তারা আরো বলেন আমাদের ওসি মহোদয় বাংলাদেশ পুলিশ বাহিণীর গর্ব এবং আমাদের অহংকার।
সাধারণ জনতা মনে করেন ওসি মোঃ জামাল উদ্দিন মীর মহোদয়ের সুদৃঢ় পদক্ষেপের কারণেই কদমতলী থানা এলাকার সাধারণ জনগণ এখন রাতের আধাঁরেও নিরাপদে পথ চলাচল করতে পারেন। ওসি সাহেবের ভয়ে অনেক অপরাধী খোলনলচে পাল্টে ভাল মানুষ হওয়ার চেষ্টা করছে। অভিযুক্ত অপরাধীরা তার আপোষহীন কঠোর আইনেরর হাত থেকে বাঁচতে এলাকা ছেড়ে হয়ে গেছেন নিরুদ্দেশ। তাইতো গড়ে উঠতে শুরু করেছে সমাজের সুন্দর পরিবেশ।
সাধারণ মানুষ এই প্রতিবেদকের কাছে তাদের মতামত তুলে ধরে বলেন নিঃসন্দেহে মোঃ জামাল উদ্দিন মীর সাদা মনের একজন ভাল মানুষ।
পুলিশ বাহিণীর গর্বিত বীরসেনানী দেশমাতৃকার সেবায় নিয়োজিত সত্যিকারের সফল চৌকস পুলিশ অফিসার জামাল উদ্দিন মীর শ্রেষ্ঠ ওসির পুরস্কার পাওয়া উপলক্ষে আমাদের অনলাইন নিউজ পোর্টাল দৈনিক দেশ ও মানুষের বার্তার পক্ষ থেকে জানাই তাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।