নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজপথের একজন ত্যাগী এবং পরিশ্রমী আওয়ামী লীগ নেতা হারুনর রশীদ মুন্না। যিনি সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর ডেমরা থানা আওয়ামীলীগ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, অবিভক্ত ডেমরা থানা আওয়ামীলীগ, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক,যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামীলীগ, প্রধান সমন্বয়ক-১৪ দল, ঢাকা-৫ নির্বাচনী এলাকা, প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়ক, ঢাকা-৫ উপনির্বাচন-২০২০ দায়িত্বে ছিলেন এবং আছেন। এই মহৎ মনের স্বচ্ছ এবং পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ সম্প্রতি তার অফিশিয়াল ফেসবুক আইডিতে ঢাকা-৫ আসনের নবনির্বাচিত এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুল ইসলাম মনু কে জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন ঢাকা-৫ এর অবহেলিত তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের জন্য।
বিজ্ঞপ্তিতে যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশীদ মুন্না বলেন, বৃহত্তর ডেমরা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ঢাকা-৫ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য বীর মু্ক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান মোল্লার সাথে আমি ছয় বছর বৃহত্তর ডেমরা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি।২০০৮ সাল থেকে তিনি টানা তিনবার সংসদ সদস্য ছিলেন।২০০৮ সাল থেকে আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান মোল্লার তিনটি নির্বাচনেই আমি প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছিলাম।২০০৮ সালের নির্বাচন পরবর্তী সময় আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান মোল্লা আমাকে কথা দিয়েছিলেন তিনি আমাকে দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব দিবেন কিন্তু পরবর্তীতে তিনি আমাকে সেই দায়িত্ব দেন নি, পরে তিনি আমাকে এ.কে হাই স্কুল এন্ড কলেজের গর্ভনিং বডির সভাপতির দায়িত্ব দেয়ার কথা বলেন কিন্তু সেই দায়িত্বও আমাকে দেয়া হয় নি।পরবর্তীতে বিভিন্ন জায়গায় আমাকে এবং আমার নেতা-কর্মীদের সকল ধরনের রাজনৈতিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয় এবং আওয়ামীলীগ সরকারের এই ১২ বছরে আমি এবং আমার নেতা-কর্মীরা কোনো রাজনৈতিক সুযোগ-সুবিধা পাই নি এবং সুবিধা নেওয়ার চেষ্টাও করি নি।
ঢাকা-৫ আসনের নব-নির্বাচিত সাংসদ আমার রাজপথের সহযোদ্ধা যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামীলীগের সংগ্রামী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুল ইসলাম মনু ভাইয়ের সাথে আমি টানা সতেরো বছর যাবৎ অবিভক্ত ডেমরা থানা এবং বর্তমান যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি।এবারের উপ-নির্বাচনেও আমি নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করেছি।
নির্বাচিত সহযোদ্ধার প্রতি আমার আহ্বান পূর্বের ন্যায় আগামীতেও আমি সাংসদের কাছ থেকে ঢাকা-৫ আসনের স্কুল,কলেজ সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে কোনো প্রকার রাজনৈতিক সুযোগ-সুবিধা নিবো না এবং কোনো প্রকার সুবিধা গ্রহণ করবো না।
তবে মাননীয় সাংসদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে ঢাকা-৫ আসনের আওয়ামীলীগের ত্যাগী বঞ্চিত নেতা-কর্মীদের যেনো সর্বাত্মক মূল্যায়ণ করা হয় এবং সর্বস্তরের মানুষের সাথে যেনো ন্যায়বিচার করা হয় ।ঢাকা-৫ আসনের সকল নেতা-কর্মীদের আমি আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমি আমার অবস্থান থেকে আপনাদের সকলকে মূল্যায়িত করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমার সহযোদ্ধা ঢাকা-৫ আসনের মাননীয় সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুল ইসলাম মনু ভাই ঢাকা-৫ আসনের আওয়ামীলীগের সকল নেতা-কর্মীদের সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করবেন।
জয় বাংলা,
জয় বঙ্গবন্ধু।
(যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, হারুনর রশীদ মুন্নার অফিশিয়াল ফেসবুক আইডি থেকে সংগৃহীত)