স্বপ্নপূরণ পাঠশালার গরীব ও দুস্থ শিশুরা মোঃ আব্দুল মালেক মুন্সীকে নিয়ে জড়িয়ে মিথ্যা ভিত্তিহীন নিউজ এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানালো
রাহাদ হোসেনঃ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের একজন সৎ ও সাদা মনের স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ মোঃ আব্দুল মালেক মুন্সি। যিনি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসল সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমান এমপির আস্থাভাজন ব্যক্তি।
এই মানুষটি অত্যন্ত ধর্মভীরু। যুব সমাজকে মাদকাসক্ত থেকে ফিরিয়ে আনতে যিনি কুতুবপুরের যুবসমাজের জন্য খেলাধুলার ব্যবস্থা করেন।
বন্যার রাস্তায় পানি উঠছে জনদুর্ভোগ এড়াতে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দেন। এইতো করোনার সময় যখন নারায়ণগঞ্জ রেড এলার্ট জারি করা হয়েছিল তখন তিনি অসুস্থ অবস্থায় তার গঠিত আত্মমানবতার সেবায় মূলক প্রতিষ্ঠান মালেক সংসদের কর্মীদের মাধ্যমে গরীব দুস্থদের মাঝে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন, হ্যান্ড গ্লাভস, মাস্ক বিতরণ করেছেন। প্রতিবন্ধীদের জন্য নিজ অর্থায়নে আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকেন।
কুতুবপুরের অসহায়-দুস্থ মানুষের কাছে তিনি গরিবের হাতিম তাই নামে পরিচিত। শুধু তাই নয় তিনি স্বপ্নপূরণ পাঠশালা নামে ১টি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি। যেখানে তিনি গরীব ও দুঃস্থ শিশুদের প্লে থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
দেশ ও মানুষের বার্তা অনলাইন নিউজ পোর্টালের এর সিনিয়র রিপোর্টার রাহাদ হোসেন এ প্রসঙ্গে প্রতিবেদন তৈরি করতে গেলে পাঠশালাটির গরীব ও দুস্থ শিশুরা বলেন, আব্দুল মালেক স্যার আমাদেরকে এই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিনিয়ত দুধ, কলা, ডিম, রুটি, আপেল,বিরিয়ানি সহ নানা রকম খাবার দেন। এছাড়াও আমাদেরকে পোশাক সামগ্রীও দেন।তিনি আমাদেরকেখুব আদর করেন এবং আমাদের জন্য আরবি শিক্ষার ও ব্যবস্থা করেছেন।
স্বপ্নপূরন পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মিলন কে এই প্রতিষ্ঠানটির জন্য এ পর্যন্ত কি কি উন্নয়ন করেছেন মোঃ আব্দুল মালেক মুন্সি সে প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটি যাবতীয় খরচ মোঃ আব্দুল মালেক মুন্সি দিয়ে থাকেন। তার মতে এমন মহৎ উদার মানুষ আছে বলেই গরীব ও দুস্থ শিশুরা শিক্ষার আলো দেখতে পাচ্ছে। এছাড়াও করোনার সময় তিনি সর্বসময়ের প্রতিষ্ঠানটির দুস্থ শিশুরা যেন খাবারের অভাব বোধ না করেন তার জন্য প্রতিনিয়ত খাবার দিয়েছেন। মুমূর্ষু রোগীর জন্য দ্রুত হাসপাতালে যেতে পারেন তার জন্য মোঃ আব্দুল মালেক মুন্সির নির্দেশেই আমি নিজস্ব সিএনজি কদমতলী থানা পুলিশ অফিসার ইনচার্জ এর সার্বিক সহযোগিতায় দিয়েছি। আমার বড় ভাই সমতুল্য মোঃ আব্দুল মালেক মুন্সির সহায়তার কারণে এই শিশুরা উজ্জল ভবিষ্যৎ নিয়ে স্বপ্ন দেখে।
সম্প্রতি মোঃ আব্দুল মালেক মুন্সির মত মহৎ মনের মানুষটিকে জড়িয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে দিবারাত্রি এবং জাগো নারায়ণগঞ্জ নামে অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে এক শ্রেণীর কুচক্রী মহল মিথ্যা ভিত্তিহীন নিউজ প্রকাশ করে। যাহা ইফতেখার আলম রবিন নামে একটি ফেইক আইডি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে মান সম্মান ক্ষুন্ন করার পায়তারা চালাচ্ছে। এজন্যই স্বপ্নপূরণ পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা মোস্তাফিজুর রহমান মিলন, প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষিকা বৃন্দ, এবং গরীব ও দুস্থ শিশুরা মোঃ আব্দুল মালেক মুন্সীকে জড়িয়ে এ ধরনের মিথ্যা ভিত্তিহীন নিউজ করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানালেন।
মোঃ আব্দুল মালেক মুন্সির সাথে এ ব্যাপারে কথা বলতে গেলে তিনি বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি, আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি। জামাত শিবির, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল আমি বহু জেল-জুলুম সহ্য করেও বর্তমান নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আমার নেতা আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমান এমপির নির্দেশনা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন নৌকার বিশ্বস্ত কর্মী হয়ে রাজপথে ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। আমাকে নিয়ে যারা,এই ধরণের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন নিউজ প্রকাশ করেছে আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পরিশেষে বলতে চাই, শিশুরা এদেশের ভবিষ্যত। আজকের শিশু আগামী দিনের দেশের উজ্জ্বল আলোকিত নক্ষত্র। তাদের সুশিক্ষার জন্য আমি স্বপ্ন পূরণ পাঠশালা প্রতিষ্ঠানটির গরীব ও অসহায় শিশুদের পাশে আমার জীবনের শেষ অবধি পর্যন্ত পাশে থাকবো। ইনশাআল্লাহ।।
স্বপ্নপূরণ পাঠশালার শিশুদের প্রতিবাদ জানানোর পর থেকেই ইফতেখার আলাম রবিন নামে ফেইক আইডি টি সোশ্যাল মিডিয়া আর দেখা যাচ্ছে না।