রাহাদ হোসেনঃ মোঃ উজ্জল মিয়া (১৭), পিতা- জামির হোসেন, মাতা-সাহেরা খাতুন নামে একটি ছেলে মাত্র (১৭) বছর বয়সে মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। আর্থিক অস্বচ্ছলতার জন্য ছেলেটি পড়াশোনা করতে পারেনি। পিতা- জামির হোসেন ছোটকালেই ছেলেটিকে রেখে চলে যায়। ছেলেটি বড় হবার পর থেকেই মায়ের এবং নিজের জন্য দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জোগাড় করার জন্য শিশু শ্রমিক হয়ে স্বল্প বেতনে কাজ করে যাচ্ছিল। আর মা সাহেরা খাতুন কাজের বুয়া হিসেবে কাজ করে। মা ছেলে সুখে-শান্তিতেই জীবন কাটাচ্ছিল। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে এই গরীব দুঃখিনী মায়ের ছেলেটি অন্ধকারের দরজায় কড়া নাড়ছে। উজ্জল মিয়া নামে এই ছেলেটির স্থায়ী ঠিকানা-গ্রাম- মাইজচর, ইউনিয়ন- ৭ নং বৈরাটি, উপজেলা মিঢামন, জেলা- কিশোরগঞ্জ। বর্তমান ঠিকানা-৭ নং সাত্তার শেখ এর বাড়ি, হোল্ডিং নং-১০, রোড নং-০১, দৌলতপুর, কুতুবপুর, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ। সমাজের অনেক বিত্তশালী ব্যক্তি আছেন যারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জায়গায় আর্থিক অনুদান দিয়ে থাকেন এবং সমাজের মানবসেবক নামে পরিচিত। তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলছি, এই শিশু শ্রমিক মোঃ উজ্জল মিয়া (১৭) এর পাশে এসে দাঁড়ান আপনারা। ইতিমধ্যে, ছেলেটি আর্থিক সহায়তার জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের ওয়ায়েস করনী আদর্শনগর এ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত আদর্শ মানব সেবা সংঘ সংস্থাটির কাছে দরখাস্ত দেওয়ার পর তারা ছেলেটির আর্থিক সহায়তার জন্য সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি জানিয়েছেন। আমাদের বাংলাদেশের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে মানব সেবার জন্য প্রতিনিয়ত আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে। উজ্জল মিয়া নামে এই ছেলেটিও যেন সুচিকিৎসার জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে আর্থিক অনুদান পায় তার জন্য দুঃখিনী মা সাহেরার চোখের জল যেন বিফলে না যায়। এই ছোট্ট শিশু শ্রমিকটির পাশে সমাজের সর্বস্তরের জনগণ এগিয়ে আসলে ছেলেটি আলোর পথ দেখতে পাবে এটাই মনে করেন ছেলেটির মা দুঃখিনী সাহেরা খাতুন। তাই কুতুবপুরের বিত্তশালীদের সহ সকলের কাছে উজ্জ্বল মিয়ার মা সাহেরা খাতুন আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন। প্রয়োজনে বিকাশ করতে পারেন।
বিকাশ পার্সোনাল নাম্বার-০১৭৮৯৭৮৬৭৭২।
এছাড়াও, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন এর ওয়ায়েস করনী আদর্শনগর এলাকার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত আদর্শ মানব সেবা সংঘ এর কাছে এসেও আর্থিক ভাবে সহায়তা করে ছেলেটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে এগিয়ে আসতে পারেন।