ইব্রাহিম রানাঃ
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের পাশেই এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদ অবস্থিত। নগরের পাশে হওয়ায় নারায়নগঞ্জের অন্যান্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ে ইউনিয়নটি অনেকটাই উন্নত। তারপরেও উন্নয়নের কিছুটা বাকি থাকাতে এবং বিগত দিনে ইউনিয়নের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমার ইউনিয়নটি বিসিক শিল্পাঞ্চল এলাকা হওয়াতে জনসংখ্যার পরিমাণ দাঁড়ায় আমার জানামতে প্রায় পাঁচ লাখেরও বেশি কিন্তু আদমশুমারি অনুযায়ী এলাকার জনগণের সংখ্যা নব্বই হাজার। জনবহুল এই সংখ্যাতে আমার ইউনিয়নের জনসংখ্যা অন্যান্য ইউনিয়নের তুলনায় বেশি।
উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমার ইউনিয়নে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মাননীয় সাংসদ একেএম শামীম ওসমানের সহযোগিতায় আমরা ব্যাপকভাবে উন্নয়ন করতে পেরেছি।
আমার ইউনিয়নের রাস্তাঘাটগুলো প্রায় ৮০ ভাগ সম্পন্ন করেছি বাকি ২০ ভাগ সম্পন্ন করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছি এক্ষেত্রে মাননীয় সাংসদ একেএম শামীম ওসমান এর প্রতি বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আর আমার ইউনিয়নের ৬নং ও ৭নং ওয়ার্ডের সরকারি কোন প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় আমি নিজে আমাদের ডিসি সাহেবের সাথে এই ব্যাপারে জোরালো ভাবে মতবিনিময় করেছি এবং উনি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন এই ব্যাপারে মাননীয় সাংসদের কাছে প্রস্তাব আকারে নিবেদন করবেন এবং মাননীয় সাংসদও প্রস্তাব আকারে সরকারের কাছে আবেদন করবেন।
করোনা কালীন সময়ে মানুষ যখন ঘরবন্দী ছিলেন তখন সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তা ইতিহাসে বিরল।আমরা তৃনমূল পর্যায়ে হওয়াতে সরকার থেকে আমাদের ব্যাপক পরিমাণে ত্রান-সাহায্য আসে, এই খাদ্য সামগ্রী গুলো আমরা আমাদের ওয়ার্ডের ১২ জন মেম্বার আছে আমরা তাদের দ্বারা মানুষের ঘরে ঘরে পৌছাতে চেস্টা করেছি।
আমাদের এলাকায় জনগণ বেশি হওয়াতে ভাসমান লোক (দিন আনে দিন খায়) এই শ্রেণীর লোক সংখ্যা বেশি হওয়াতে আমরা নিজেরা সহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক মহল ও বিত্তশালীরা মিলে সকলের সমন্ব্যয়ে এবং নিজেদের উদ্যোগেও মানুষের পাশে দাঁড়াই। তার মধ্যেই মানুষের সেবা দিয়ে গিয়ে আমাদের ৭,৮,৯, নং ওয়ার্ডের মেম্বার রোজিনা আক্তার করোনায় আক্রান্ত হন,পাশাপাশি আক্রান্ত হয়েছিল ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার কামরুল হাসান এর পুরো পরিবার এবং ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সালাউদ্দিন আহমেদের পুরো পরিবার।
নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে আমার ওয়ার্ডে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা এবং দাপ্তরিক সুবিধা যেমন চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট, জন্মনিবন্ধন পত্র,ট্রেড লাইসেন্স এর সুবিধা রেখেছি।
মাদকের ব্যাপারে কথা বললে তিনি জানান, প্রশাসনের উদ্যোগে মাদকের হার অনেকটাই কমে গিয়েছিল কিন্তু লকডাউনের পর থেকে মাদকের হার তীব্রভাবে কিছুটা বেড়ে যায় এই ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি মাদকে আবারও নির্মূল করা সম্ভব তাদের প্রচেষ্টায় মাদককে আবারো নির্মূল করা সম্ভব।
এই ক্যাটাগরীর আরও খবর..