রাহাদ হোসেনঃ ১৭৫৭ সালে পলাশীর আম্রকাননে স্বাধীনতার যে সূর্য অস্তমিত হয়েছিল সেটির উদয় ঘটে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। বিজয়ের মহামুহূর্তটি সূচিত হয়েছিল আজকের এই দিনে। ৯১ হাজার ৫৪৯ পাকিস্তানি সৈন্য প্রকাশ্যে আত্মসমর্পণ করেছিল। ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজী মিত্র বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের সর্বাধিনায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিত্ সিং অরোরার কাছে আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেছিলেন। দেনদরবার নয়, কারও দয়ার দানে নয়, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বিজয়ের পর নত মস্তকে পাকিস্তানি বাহিনী পরাজয় মেনে নেয়। পৃথিবীতে নতুন একটি রাষ্ট্র হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। আর এই বিজয়ের মহানায়ক হিসাবে যিনি ইতিহাসে চির অম্লান ও ভাস্বর হয়ে আছেন তিনি হলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
এ প্রসঙ্গে শহীদ নগর আনন্দ ক্রীড়া সংসদ সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ ফজলুর রহমান বলেন, বিজয়ের এই মাসে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যারা কটুক্তি করার ধৃষ্টতা দেখায় কিংবা ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলে তাদেরকে আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ধর্মব্যবসায় যারা লিপ্ত তাদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন। বিজয়ের এই মাসে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমান এমপির পরম আস্থাভাজন কর্মী, আমার নেতা মোঃ আব্দুল খালেক মুন্সির কাছে একটাই চাওয়া, কুতুবপুরের তৃণমূল আওয়ামী লীগ পর্যায়ের কর্মীদের সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে আপনার মত একজন ত্যাগী নেতা কে আমরা কুতুবপুর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবংআসন্ন কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই। পাশাপাশি ফজলুর রহমান তার শ্রদ্ধেয় আরেক প্রাণপ্রিয় নেতা যুব সমাজের আইকন, কুতুবপুরের গরিবদের হাতেম তাই খ্যাত মোঃ আব্দুল মালেক মুন্সীকে কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী হিসেবে চায়। সর্বশেষে তিনি বলেন, আমি এই মহান বিজয় দিবসে সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই এবং কুতুবপুরের এর সকল তৃনমূল আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ সহ সকল অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মোঃ আব্দুল খালেক মুন্সি এবং মোঃ আব্দুল মালেক মুন্সির পক্ষ থেকে মহান বিজয় দিবসের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানাই।