পৃথিবীর সব স্বাধীন দেশের স্বাধীনতা দিবস থাকলেও বিজয় দিবস থাকে না। বাংলাদেশ সেই বিরল সৌভাগ্যের অধিকারী দেশ, যেটি ২৪ বছরের রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রামের পর রণাঙ্গনে শত্রুকে পরাজিত করে বিজয় অর্জন করেছে।
আমাদের স্বাধীনতার বয়স এখন ৪৯ বছর। ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে এটি খুব বেশি দীর্ঘ সময় না হলেও একটি জাতির উন্নয়ন-অগ্রগতির জন্য একেবারে কম নয়। স্বভাবতই প্রশ্ন আসে, যে লক্ষ্য ও আদর্শকে সামনে রেখে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, সেই লক্ষ্য ও আদর্শ কতটা অর্জিত হয়েছে? স্বাধীনতার প্রধান আকাঙ্ক্ষা ছিল সব ধরনের অধীনতা থেকে মুক্তি এবং সমাজে গণতন্ত্র, ন্যায় ও সমতা প্রতিষ্ঠা। সব নাগরিকের মৌলিক চাহিদা ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে বাহাত্তরের সংবিধানে জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে মৌলিক নীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিল।
কিন্তু অতীব পরিতাপের বিষয়, আমরা সেখানে স্থির থাকতে পারিনি। একদলীয় শাসন কিংবা সামরিক শাসন আমাদের অগ্রযাত্রাকে বারবার ব্যাহত করেছে। নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর প্রতিষ্ঠিত সংসদীয় ব্যবস্থাকেও আমরা সংহত করতে পরিনি। কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ আর্থসামাজিক সূচকে আমরা অনেক এগিয়ে গেলেও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছি।
আজকের বিজয় দিবসের শপথ হোক, সব ধরনের হানাহানি ও বৈরিতা-বিদ্বেষকে পেছনে ফেলে, দেশের ও জনগণের কল্যাণে সবাই এক হয়ে কাজ করব। আর এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল ও নেতৃত্বের দায়ই যে বেশি, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বিজয়ী জাতি কখনোই পরাভব মানে না। বাংলাদেশ তার লক্ষ্যে অবিচল থাকবে।যারা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তি করে কিংবা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার দুঃসাহসিকতা দেখায় তাদেরকে কঠোরতম শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন। পরিশেষে বলতে চাই, আমার নেতা নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমান এমপির পক্ষ থেকে আমার কুতুবপুর বাসিকে মহান বিজয়ের অগ্রিম শুভেচ্ছা।