মুরাদ কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ হাতি মরলেও লাখ টাকা বাঁচলেও লাখ টাকা, এই কথার সাথে হুবহু মিল রয়েছে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার শিবেরডাঙ্গী কমিউনিটি ক্লিনিকে । এখানকার কর্মকর্তা কর্মচারীরা বাসায় বসেই বেতন তুলছেন মাসের পর মাস এবং প্রায় সময় ওষুধ প্রদান করে কমিউনিটি ক্লিনিকের ঝাড়ুদাররা । অভিযোগ পেয়ে শিবেরডাঙ্গী কমিউনিটি ক্লিনিকে পর পর তিন দিন গিয়েও সেই ক্লিনিকটি বন্ধ অবস্থায় দেখা যায় । পরে এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে তারা জানান, এই ক্লিনিকে আমরা ঠিক মতো কোনো চিকিৎসা পাই না সপ্তাহে সাত দিনের মধ্যে ৪ দিন প্রায় বন্ধ থাকে । সকাল ১০ টায় খোলার নিয়ম থাকলেও তা খোলা হয় ১১ টার দিকে, শুধু তাই নয় ক্লিনিক সরকারি ভাবে ৩ টা পর্যন্ত খোলা রাখতে বলা হলেও তা বন্ধ হয়ে যায় ১ টার আগেই । তারা আরো বলেন আমাদের ঔষধ নিতেও টাকা গুনতে হয় যা সরকারি নিয়মের বাইরে । পরে ক্লিনিকে যখন তিন কর্মকর্তাকে পাওয়া যায় তখন প্রধান দ্বায়িতে থাকা আরিফা সুলতানার সাথে কথা বললে, তিনি বলেন আমরা উপর মহল কে ম্যানেজ করেই এসব করি । তিনি বোঝাতে চেয়েছেন তিনি উপর মহল কে টাকা দিয়ে অফিসে আসেন না অফিস বন্ধ রাখেন । তার ভিডিও সহ বক্তব্য চাইলে তিনি বলেন, তার উপর মহলের অনুমতি নিতে হবে । তাকে তার উপর মহলকে ফোন দিতে বললে, তিনি তখন ফোন দেয় তার স্বামীকে, যিনি একজন ডেন্টিস্ট হয়েও রাজিবপুর হাসপাতালে এমবিবিএস ডাক্তারদের রোগী দেখেন । ক্লিনিক কর্মকর্তা তার উপর মহল বলতে বুঝিয়েছেন তার স্বামী ডেন্টিস্ট শরিফুল ইসলাম জীবনকে । এ বিষয়ে মেডিকেল অফিসার, রাজিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টি.এস ডাক্তার সারোয়ার হোসেন এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি দেখব এবং আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো ।