রাহাদ হোসেনঃ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন কুতুবপুর ইউনিয়নের ৩ (তিন) বারের সফল চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মনিরুল আলম সেন্টুর সার্বিক সহযোগিতায় প্রতিটি ওয়ার্ডের মেম্বার প্রতিনিয়ত রাস্তাঘাট উন্নয়নের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে, ৪ নং ওয়ার্ডের জনদরদি জনপ্রতিনিধি, চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মনিরুল আলম সেন্টুর আস্থাভাজন ব্যক্তি মেম্বার জামান মিয়া ৪ নং ওয়ার্ডে রাস্তাঘাট উন্নয়নে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ঠিক সেই লক্ষ্যে,মেম্বার জামান মিয়া তার তত্ত্বাবধানে ২২/১২/২০ ইং তারিখ সকাল ১১ ঘটিকায় পশ্চিম দেলপাড়ার গোলাপবাগ রাস্তাটির তিনি শুভ উদ্বোধন করলেন।
এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মনিরুল আলম সেন্টু, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য মোস্তফা হোসেন চৌধুরী, ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ড মহিলা মেম্বার অনামিকা হক প্রিয়াংকা, গোলাপবাগ পঞ্চায়েত কমিটির সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক আকতার মোল্লা, এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ওয়ায়েস করনী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবীণ শিক্ষক আব্দুল হামিদ মাস্টার, রাজ্জাক মোল্লা, শামীম মোল্লা সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এসময় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মনিরুল আলম সেন্টু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমানের নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারি বাজেট মোতাবেক আমি চেষ্টা করেছি আমার কুতুবপুর ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট উন্নয়নের এবং প্রতিনিয়ত রাস্তাঘাট উন্নয়ন হচ্ছে। এছাড়াও এলাকার ইভটিজিং মাদক নির্মূলে আমি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছি। আমার ইউনিয়নের জনগণ শতভাগ নাগরিক সুবিধা পাচ্ছে। এছাড়াও, করোনা দুর্যোগকালীন সময়ে আমার ওয়ার্ডের প্রতিটি মেম্বার সুষ্ঠুভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঠানো খাদ্য সামগ্রী উপহার বিতরণ করেছেন। এখন শীতকাল। করোনার ২য় স্টেপ ভয়াবহ আকারে দেখা দিতে পারে। তাই আমার ওয়ার্ডের প্রতিটি জনগণকে মাস্ক পড়ে বাহিরে বের হবার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি।
৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার জামান মিয়া বলেন, আজ সকাল থেকে কয়েকটি রাস্তার বালু ভরাট এর কাজ পরিদর্শন করেছি। যেগুলো খুব দ্রুত সিসি ঢালাই করা হবে। আজ আমাদের জনদরদি নেতা, কুতুবপুরের অভিভাবক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মনিরুল আলম সেন্টুর সার্বিক সহযোগিতায় গোলাপবাগের রাস্তাটি সিসি ঢালাই কাজ সম্পন্ন করলাম। এই রাস্তাটির অবস্থা খুবই নাজুক ছিল। মানুষের যাতায়াতের খুবই সমস্যা ছিল। এখন নির্বিঘ্নে মানুষ চলাফেরা করতে পারবে। আমি নির্বাচিত হবার পর থেকেই চেয়ারম্যান সাহেবের নির্দেশনা অনুযায়ী এই ওয়ার্ডে মাদক ইভটিজিং নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছি। করোনাকালীন সময়ে মানুষের মাঝে সুষ্ঠুভাবে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সামগ্রী উপহার বিতরণ করেছি। নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমার ওয়ার্ডে, জন্ম নিবন্ধন, মৃত্যু সনদ, ট্রেড লাইসেন্স, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, ১০ টাকা মূল্যের ৩০ কেজি চালের কার্ড সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করেছি। জনগণ চাইলে অবশ্যই আমি আবারো পুনরায় নির্বাচিত হয়ে ওয়ার্ডেটিকে মডেল সিটি তে রূপান্তরিত করব।
৪,৫,৬ নং ওয়ার্ড মহিলা মেম্বার এসময় সংক্ষেপে বলেন, আমাদের কুতুবপুর ইউনিয়নের অভিভাবক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মনিরুল আলম সেন্টুর সার্বিক সহযোগিতায় আমার ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট উন্নয়নে আমার মরহুমা মায়ের আদর্শ কে ধারণ করে উন্নয়ন করেছি। গোলাপবাগের জনগণের মুখে আজ হাসি ফুটেছে। এই রাস্তাটির সিসি ঢালায় সম্পন্ন হওয়াতে জনগনের চলাচল সহজতর হয়ে উঠলো। মাদক ইভটিজিং নির্মুল থেকে শুরু করে, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিনোদন, শিক্ষার উন্নয়নে আমি আমার তিনটি ওয়ার্ডের জনগণকে পরিবার ভেবেই কাজ করেছি। করোনাকালীন সময়েও চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মনিরুল আলম সেন্টুর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঠানো খাদ্য সামগ্রী উপহার সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করেছি। আমি আশাবাদী আমার মাকে যেভাব আমার তিনটি ওয়ার্ডের জনগণ ভালোবেসে জয়ী করেছে আমাকেও পুনরায় তেমনি ভাবে নির্বাচিত করবে। আমি কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী। মায়ের আদর্শকে সমুন্নত রাখতে আমি সর্বোচ্চ মানব সেবা দিতে চেষ্টা করেছি, করে যাব, যতদিন বেঁচে থাকব।
এর আগে মেম্বার জামান মিয়া ওয়ায়েস করনী স্কুলের দক্ষিণ কাঁচা রাস্তা থেকে মাদ্রাসা পর্যন্ত কাঁচা রাস্তা বালু ভরাট পরিদর্শন করেন। এসময় তার সাথে ছিলেন সা’দাতিয়া জামে মসজিদের সেক্রেটারি বাদশাহ জমাদার, সৈয়দ আহমেদ পলাশ আরে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অনেকে।
এরপর মেম্বার জামান মিয়া সকাল ৯ ঘটিকায় মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিক সাহেবের বাড়ির পশ্চিমে কাঁচা রাস্তা বালু ভরাটের কাজ পরিদর্শন করেন। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন আদর্শনগর সমাজ উন্নয়ন কমিটির সভাপতি রুস্তম আলী শেখ, সহ সভাপতি আশরাফুল ইসলাম মাস্টার, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী নিশাত আহমেদ।