রাহাদ হোসেনঃ রাজধানী ঢাকার কদমতলী থানার আওতাধীন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ৬৫ নং ওয়ার্ড এর সহিদ নগর ৫ নং বালুর মাঠ সংলগ্ন রোডে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সহিদ নগর আনন্দ ক্রীড়া সংসদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়। এসময় গরীব দুঃস্থ অসহায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানটি শুরু হয় গতকাল ২৬/১২/২০ ইং তারিখ শনিবার বিকাল ২ ঘটিকায়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা, সদস্য, বিশিষ্ট আইনজীবী এবং সংবাদ পাঠিকা নেহরিন মোস্তফা (দিশি), প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন কদমতলী থানার চৌকস পুলিশ অফিসার ইনচার্জ জামাল উদ্দিন মীর, বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেখ জামাল।
অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী যুবলীগ নেতা, গরীব মেহনতী মানুষের বন্ধু, মালেক সংসদের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মালেক মুন্সি।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক, আহসান উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় স্কুল কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুল খালেক মুন্সি, সহিদ নগর আবাসিক এলাকার প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব মোঃ শহীদ উল্লাহ, যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ ফারুক খান, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট জয়নাল আবেদীন সফরি।
প্রধান অতিথি নেহেরিন মোস্তফা (দিশি) বলেন, পাকিস্তান বলেন, ভুটান বলেন আর নেপাল বলেন সব দেশ থেকে এগিয়ে গেছে আমাদের বাংলাদেশ।এটা একমাত্র সম্ভব হয়েছে আমাদের জননেত্রী দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর জন্যই অর্থনীতির চাকা করোনাকালীন সময়েও ঘুরেছে। বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্র যখন করোনা মহামারীর দুর্যোগে হিমশিম খাচ্ছে সেই দিক থেকে আমাদের বাংলাদেশে ভালো পর্যায়ে আছে। যুব সমাজকে মাদক ইভটিজিং থেকে দূরে রাখার জন্য খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই। সহিদনগর আনন্দ ক্রীড়া সংসদের এমন মহতী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। ধনীদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই শীতে আসুন অসহায় শীতার্তদের নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী শীতবস্ত্র বিতরণ করি।
কদমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ জামাল উদ্দিন মীর বলেন, আমাদের লাল সবুজের সোনার বাংলাদেশ আজ স্বাধীন। এই স্বাধীন বাংলাদেশে যারা মাদক ব্যবসা করছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর আহবানে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল যেভাবে ঠিক সেভাবেই মাদকের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। মাদক ইভটিজিং কিশোর গ্যাং রোধে ১৮ বছরের কম বয়সী ছেলে মেয়েকে সন্ধ্যার পরে বাহিরে বের হতে দেওয়া যাবে না। সংসারের অভিভাবকদের ছেলে মেয়েদেরকে শাসন করতে হবে তাহলেই মাদক ইভটিজিং নির্মুল সহজতর হবে।সহিদনগর আনন্দ ক্রীড়া সংসদের যুবসমাজকে আমি ধন্যবাদ জানাই অসহায়দের কম্বল বিতরণ এর মত এমন ১টি আয়োজনে আমাকে নিমন্ত্রণ করার জন্য।
মোঃ আব্দুল খালেক মুন্সি বলেন, অনেক সভায় বলেছি মাদক বিক্রি করেন, যারা মাদকের টাকা খান তারা জারজ সন্তান। আবারো বলছি যারা মাদক বিক্রি করেন, মাদকের টাকা খান তারা ভালো হয়ে যান। এটা আমাদের সমাজের ক্যান্সার। মাদকের যারা ব্যবসা করে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে তথ্য দিন। সর্বশেষে বলতে চাই, মহান বিজয়ের এই মাসে সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
মোঃ আব্দুল মালেক মুন্সি বলেন, যুব সমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে প্রতিটি এলাকায় সমাজ উন্নয়ন কমিটি কে এলাকার যুব সমাজের জন্য খেলাধুলার ব্যবস্থা করে দিতে হবে, সংসারের অভিভাবককে ছেলে মেয়েদের দিকে খেয়াল রাখতে হবে তাহলে মাদক ইভটিজিং রোধ করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি এই শীতে আসুন আমরা সকলে শীতার্তদের মাঝে শীতের পোশাক দিয়ে শীত নিবারণের জন্য পাশে দাঁড়াই।
অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন, বাবা মার দোয়া এন্টারপ্রাইজ এর পরিচালক গাজী মোল্লা, সহিদ নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি, হাজী আবুল হাসেম ভূঁইয়া।
পরিচালনায় ছিলেন, আনন্দ ক্রীড়া সংসদের প্রধান উপদেষ্টা, ডাঃ বজলুর রহমান, উপদেষ্টা, মোঃ আজম খান।
উপস্থাপনায় ছিলেন, সহিদনগর আনন্দ ক্রীড়া সংসদের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি শাহ আলী।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আনন্দ ক্রীড়া সংসদের, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফয়সাল হোসেন জনি,সহ সভাপতি ফজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক রিপন চন্দ্র দাস, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম সহ আনন্দ ক্রীড়া সংসদের সকল সদস্যবৃন্দ।