নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গতকাল ৩০/১২/২০ ইং তারিখ তারাব পৌরসভা নির্বাচনে সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা । এসময় রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ নুসরাত জাহানসহ কাউন্সিলর প্রার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক) এর সহধর্মীনি হাছিনা গাজী মৌখিকভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় পুনরায় বিজয়ী হয়েছেন।

এছড়া তিনজন সাধারণ কাউন্সিলর মৌখিকভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিজয়ী হয়েছেন। তারা হলেন, ১ নং ওয়ার্ডে রফিকুল ইসলাম মনির, ৪ নং ওয়ার্ডে আক্তার হোসেন, ৬ নং ওয়ার্ডে মাহাবুবুর রহমান জাকারিয়া।

রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, এবারের নির্বাচনে সংরক্ষিত এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে মোট ৩৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছে। তার মধ্যে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৬ টি ওয়ার্ডে ২৭ জন প্রার্থী ভোটের লড়াই করছে। সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছে।

সংরক্ষিত এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ ১৬ জানুয়ারি।মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৪৩ টি , মোট ভোট কক্ষ ২৮২টি।

জানা গেছে, ২ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর হোসাইন আহমেদ রাজিব পেয়েছেন ডালিম প্রতীক। জসিম উদ্দিন পেয়েছেন উট পাখি প্রতীক। ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৯শ ৮৪। প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় ৫০ হাজার টাকা। প্রার্থীর ব্যক্তিগত খরচ ৫ হাজার টাকা। জামানত ৫ হাজার টাকা।

৩ নং ওয়ার্ডে, রাসেল শিকদার পেয়েছেন ব্রিজ প্রতীক। ভোটার সংখ্যা ৮ হাজার ৭ শ ২৭। প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় ১ লাখ টাকা। প্রার্থীর ব্যক্তিগত খরচ ৭ হাজার টাকা। জামানত ৫ হাজার টাকা।তৌহিদুল ইসলাম রিপন পেয়েছেন পানির বোতল প্রতীক।

সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর -১ (১,২,৩ নং ওয়ার্ড) : ভোটার সংখ্যা ১৬ হাজার ৬ শ ৯৭ । প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় দেড় লাখ টাকা। প্রার্থীর ব্যক্তিগত খরচ ১০ হাজার টাকা। জামানত ৫ হাজার টাকা।

৫ নং ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ১০ হাজার ৭শ ৫।বর্তমান কাউন্সিলর হামিদুল্লাহ পেয়েছেন উট পাখি প্রতীক। প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় দেড় লাখ টাকা। প্রার্থীর ব্যক্তিগত খরচ ১০ হাজার টাকা। জামানত ৫ হাজার টাকা। মো: আবুল কালাম আজাদ স্বপন পেয়েছেন পানির বোতল প্রতীক।

সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর -২ (৪,৫,৬ নং ওয়ার্ড) সালমা জাহান খাঁন পেয়েছেন টেলিফোন প্রতীক, আসমা বেগম পেয়েছে জবা ফুল প্রতীক , মাহফুজা বেগম পেয়েছে আনারস প্রতীক। এখানে ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৩শ ৪৩। প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় দুই লাখ টাকা। প্রার্থীর ব্যক্তিগত খরচ ১৫ হাজার টাকা। জামানত ৫ হাজার টাকা।

৭ নং ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৯ হাজার ১৮ । প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় ১ লাখ টাকা। প্রার্থীর ব্যক্তিগত খরচ ৭ হাজার টাকা। জামানত ৫ হাজার টাকা। আনোয়ার হোসেন পেয়েছেন ডালিম প্রতীক, রুহুল আমিন ফরাজী পেয়েছেন উটপাখি প্রতীক।

৮ নং ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ১০ হাজার ৬শ ৬১ । প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় দেড় লাখ টাকা। প্রার্থীর ব্যক্তিগত খরচ ১০ হাজার টাকা। জামানত ৫ হাজার টাকা। আমির হোসেন ভুঁইয়া পেয়েছেন উট পাখি প্রতীক। আকবর পেয়েছেন ডালিম প্রতীক।

৯ নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর আতিকুর রহমান পেয়েছেন টেবিল ল্যাম্প প্রতীক। এখানে ভোটার সংখ্যা ২১ হাজার ৫শ ৫০ । প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় দুই লাখ টাকা। প্রার্থীর ব্যক্তিগত খরচ ১৫ হাজার টাকা। জামানত ৫ হাজার টাকা। আমজাদ হোসেন পেয়েছেন উটপাখি প্রতীক।

সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর -৩ (৭,৮,৯ নং ওয়ার্ড): পারুল আক্তার পেয়েছেন আনারস প্রতীক। জোসনা বেগম পেয়েছেন চশমা প্রতীক, শাহনাজ বেগম হারমোনিয়াম প্রতীক। এখানে ভোটার সংখ্যা ৪১ হাজার ২শ ২৯।প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় দুই লাখ টাকা। প্রার্থীর ব্যক্তিগত খরচ ১৫ হাজার টাকা। জামানত ৫ হাজার টাকা।