মোঃ জাহিদুল ইসলাম, রাজিবপুর উপজেলা প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়নে পাটাধোয়া পাড়া গ্রামে একটি বাঁশের সাঁকো, প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষকে প্রয়োজনের তাগিদে যেতে হয় হাট-বাজার ও উপজেলা শহরে। বিকল্প রাস্তা না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাকো দিয়েই পারাপার হতে হয় কমল মতি স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের। স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর অতিবাহিত হলেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এই অঞ্চলের জনগণের। আর এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে প্রায় দশ হাজার মানুষ। সরেজমিনে গিয়ে এসব তথ্য চিত্র দেখতে পাওয়া যায়।
যানা গেছে, উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের এলাকার পাটাধোয়া পাড়া গ্রাম,গ্রামের মানুষ, স্কুল, কলেজ শিক্ষার্থী, চাকুরিজীবী, এনজিও কর্মীসহ তাদের কাজে যেতে বর্তমানে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হয়। যোগাযোগের ব্যবস্থা ভালো না থাকায় ওই অঞ্চলের কৃষক ফসলের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।শুধু তাই নয় প্রসূতি রোগীদেরও সময় মতো হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারে না, পারে না তাদের ঠিক সময় ঠিক মতো চিকিৎসা করাতে।
এলাকার সাধারণ মানুষেরা বলেন দেশে কিসের উন্নয়ন হচ্ছে? যেখানে আমরা ছোট্ট একটি ব্রিজের উভাবে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছি! বাংলাদেশ সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাদ্দ ঠিকই দেন কিন্তু তা কাজ না হয়ে সেই বরাদ্দ চলে যায় স্থানীয় প্রতিনিধিদের পেটে আর কাজ হলেও তা ঠিক মতো ঠিক জায়গায় হয় না বলে মন্তব্য করেন তারা।
তাই এলাকাবাসির দাবী যদি এখানে একটা ব্রিজ হতো আমরা বিভিন্ন ফসল বাজারে নিয়ে গিয়ে ন্যায্য মূল্য পেতাম এবং এলাকার স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র- ছাত্রী, ব্যবসায়ী চাকুরিজীবিদের যাতায়াতে সুবিধা হতো।