নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শাহী মহল্লা কবরস্থান মসজিদ
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের একটি ঐতিহ্যবাহী মসজিদের নাম। এই মসজিদটির উন্নয়নের জন্য নারায়ণগঞ্জের অত্যন্ত ধর্মভীরু নেতা সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমান এমপি ইতিমধ্যে ৩০ লক্ষ টাকা মসজিদ নির্মাণের জন্য দান করেছিলেন। মসজিদ মাদ্রাসা নির্মাণ এর জন্য আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমান এমপি এর ভূমিকা অপরিসীম।
এই মসজিদটি নির্মাণে সকলকে এগিয়ে আসা দরকার। ইতিমধ্যে, এই মসজিদটি নির্মাণ নিয়ে চলেছে অনেক জল ঘোলা। কখনো দেখা গিয়েছে মসজিদের পাশে হলিডে মার্কেট উচ্ছেদের জন্য নিউজ, কখনো দেখা গিয়েছে মসজিদের নিচে মার্কেট হবে কি হবে না এ
নিয়ে বাক-বিতণ্ডা। ১০ কাঠার জায়গা ৫ কাঠার মসজিদ নির্মাণ এর অনুমতি। আবার দেখা গিয়েছে কঙ্কালের আবির্ভাব। যাহা গণমাধ্যম এবং বাংলাদেশের আনাচে কানাচে আলোচিত হয়ে গিয়েছে এই মসজিদটি নিয়ে। কখনো দেখা গিয়েছে, মসজিদটির অর্থ লোপাট নিয়ে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে নিউজ।
মসজিদ আল্লাহর ঘর। এ নিয়ে এত হিংসা বিদ্বেষ রাজনৈতিক হানাহানি যাহা সত্যিই ইসলামিক রাষ্ট্র হিসেবে নিন্দনীয়।
তবে, আশার আলো দেখাচ্ছে কুতুবপুর ইউনিয়নের অভিভাবক তিন বারের সফল চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মনিরুল আলম সেন্টু স্বাক্ষরিত কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি হাজী জসীম উদ্দীন কে আহবায়ক করে একটি নতুন কমিটি মসজিদের জন্য ঘোষণা করার মধ্য দিয়ে। মসজিদ নির্মাণের কাজ যেন দ্রুত আবার শুরু হয় সেই লক্ষ্যে। পূর্বের কমিটি নতুন কমিটির পাশে থেকে মসজিদ নির্মাণে কাজ করলে মসজিদটি নির্মাণ সহজতর হবে।
জনগণের প্রত্যাশা, হিংসা বিদ্বেষ হানাহানি নয় কিংবা রাজনৈতিক প্রতিহিংসাও নয়। শাহী মহল্লা কবরস্থান মসজিদটিতে যেন সকলে নামাজ পড়তে পারে খুব দ্রুত।
বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রতিনিয়ত নিরলস পরিশ্রম করে মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মাণে বদ্ধপরিকর। আর নারায়ণগঞ্জের জনদরদী নেতা আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমান সেই ধারা অব্যাহত রাখতেই নারায়ণগঞ্জে প্রতিনিয়ত ইসলামিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেন আরো উন্নত হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তাই জনগণ চাচ্ছে দরকার হলে সরকারি সহায়তার মাধ্যমে হলেও যেন শাহী মহল্লা কবরস্থান মসজিদটির কাজ পুনরায় দ্রুত শুরু হয়। শুধু তাই নয়, মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল কবরস্থান এ নিয়েও চলছে অনেক রাজনীতি।
বাংলাদেশের সকল মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান যেন এই ধরনের রাজনীতি থেকে মুক্তি পায়় সেই জন্য বিজ্ঞ জনেরা বলেছেন, যারা মসজিদ মাদ্রাসা নিয়ে হানাহানি করে আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন যেন তাদেরকে সঠিক বুঝ দেওয়ার তৌফিক দেয়।