মোঃ সেলিমঃ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন কুতুবপুর ইউনিয়ন এর জনগণ মশার জ্বালায় অতিষ্ঠ। ঠিক সেই সময় কুতুবপুর ৬ নং ওয়ার্ডে মেম্বার পদপ্রার্থী, পাগলাবাজার বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বাচ্চু গতকাল ৭/৩/২১ ইং তারিখ আছরের নামাজ পর নয়ামাটি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ রোড থেকে শুরু করে ভাবীর বাজার এলাকায় নিজের কাঁধে মশক নিধন মেশিন নিয়ে মশার বিস্তার যেখানে দেখেছে মশার ঔষধ ছিটিয়ে দিয়েছেন।
এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ এর শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান খেতাবপ্রাপ্ত কুতুবপুরের ৩ বারের সফল চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মনিরুল আলম সেন্টুর ছোট ভাই আলহাজ্ব মামুন হাবিব, পাগলাবাজার বহুমুখী সমবায় সমিতির প্রচার সম্পাদক, মোঃ শাহজাহান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাহ আলম, সদস্য কামাল, খলিল সহ নয়ামাটি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম, মসজিদের মুসল্লী এবং এলাকাবাসী।
সরেজমিনে প্রতিবেদককে ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার পদপ্রার্থী মাহবুবুর রহমান বাচ্চু বলেন, আমি মূলত সপ্তাহ খানেক আগে যখন নয়ামাটি মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়তে দাড়ালাম দেখলাম মশা আমাকে এতটাই বিচলিত করছে পায়ে কামড় দিচ্ছে, হাতে কামড় দিচ্ছে, ঘাড়ে কামড় দিচ্ছে আমার নামাজ ছুটে যাওয়ার উপক্রম। আমি চিন্তা করলাম এমন অবস্থায় মুসল্লিদের অনেক কষ্ট হচ্ছে।যারা সমাজের বিত্তবান আছে তারা সবাই যদি এলাকায় যখন সমস্যা সৃষ্টি হয় সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে তারা যদি পাশে থাকে সমস্যাগুলো নিরসন হয়ে যায়। আমাদের ওয়ার্ডে মশার উপদ্রব অনেক। তাই এই মশার উপদ্রব দেখে আমি নিজে কাঁধে মশা নিধন মেশিন নিয়ে মশার ওষুধ ছিটিয়েছি। আমার ওয়ার্ডে যতদিন পর্যন্ত মশা নিধন সম্ভব না হবে আমি ততদিন এই অভিযান চলমান রাখবো। আমি ইচ্ছা করলে পাঁচ-ছয়জন রেখে মশা নিধন ওষুধ ছিটাতে পারতাম। কিন্তু তাতে শতভাগ সফল হতে নাও পারতাম তাই নিজে কাঁধে মশা নিধন মেশিন নিয়ে মশার ঔষধ ছিটাচ্ছি। আমি ৬ নং ওয়ার্ডের একজন মেম্বার পদপ্রার্থী। আমি যদি ভোট চাইতে জনগণের পাশে যেতে পারি তাহলে মশা নিধনের জন্য জনগণের বিপদেও পাশে থাকতে অবশ্যই পারি। আমার ওয়ার্ডের যে সকল এলাকায় বহু পরিমাণে মশা আছে সেসকল এলাকার জনগণ আমাকে জানাবেন আমি মশক নিধন মেশিন নিয়ে হাজির হব। জনসেবা করতে হলে জনপ্রতিনিধি হতে হয় না মন থাকতে হয়। ইনশাআল্লাহ ৬ নং ওয়ার্ডে মশা নিধন করতে পারলে পর্যায়ক্রমে সব ওয়ার্ডে মশা নিধন মেশিন নিয়ে যাব।