ডেস্ক রিপোর্ট : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বসুন্ধরা ও রংধনু গ্রুপের উদ্যোগে ২০ হাজার দুস্থ্য ও অসহায় পরিবারকে
মঙ্গলবার ১৩/৪/২১ ইং তারিখ ঔ সন্ধ্যায় উপজেলার কায়েতপাড়ায় ইউনিয়নের নাওড়া এলাকায় চেয়ারম্যানের অস্থায়ী কার্যালয়ে ত্রাণ ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
এ সময় গরুর মাংস, মুরগীর মাংস, তেল, ডাল, চাল, ছোলা বুট, পেয়াজ, আলুসহ বিভিন্ন ত্রান ও ইফতার সামগ্রী দুস্থ অসহায় মানুষের মাঝে দেয়া হয়।
কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী সামসুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম রফিক।
জেলা পরিষদের সদস্য ও কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী রংধনু গ্রুপের পরিচালক মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন,
রূপগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার আবুল বাশার টুকু, থানা আওয়ামীলীগের সাবেক কার্যকরী সদস্য করিম পাঠান, থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সস্পাদক মোজাম্মেল হক মিলন, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাজী ইয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল আউয়াল, উপজেলা যুবলীগ নেতা হাজী সফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আজগর, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা জামান ব্যাপারী, ওসমান গনী, আমির হোসেন স্বপন, সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মহিউদ্দিন মেম্বার প্রমূখ।
রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম বলেছেন, গত বছর করোনার প্রথম ধাপেও বসুন্ধরা ও রংধনু গ্রুপ সাধারণ মানুষের পাশে ছিল। মাহে রমজানে যাতে করে কেউ না খাবারের কষ্ট না করে সেই কথা চিন্তা গত বছরও বসুন্ধরা ও রংধনু গ্রুপের উদ্যোগে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছিল আর এ বছরও বিতরণ করা হচ্ছে। পবিত্র মাহে রমজানে যাতে মানুষ সুন্দর ভাবে রোজা রাখতে পারে সেই দিক বিবেচনা করে আজ এসব ত্রান ও ইফতার সামগ্রী দিয়েছি। আমরা সবসময় জনগনের পাশে থেকে সেবা করে যেতে চাই।
তিনি আরো বলেন, আমাদের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ চলমান থাকবে। করোনার প্রথমধাপে আমি বলেছিলাম লকডাউনের সময় রূপগঞ্জের একটিও পরিবার না খেয়ে থাকবে না। সবার ঘরে ঘরে ত্রাণ সামগ্রী পৌছেঁ দিয়েছিলাম। এ বছরও লকডাউনের সময় সাধারণ মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হবে। বসুন্ধরা ও রংধনু গ্রুপ রূপগঞ্জের সাধারণ মানুষের পাশে আছে ভবিশ্যতেও থাকবে। করোনা মোকাবিলায় সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। অবশ্যই মাস্ক পড়তে হবে এবং সরকার নির্ধারিত লকডাউন মেনে ঘরে থাকতে হবে।গরুর মাংস, মুরগীর মাংস, তেল, ডাল, চাল, ছোলা বুট, পেয়াজ, আলুসহ বিভিন্ন ত্রান ও ইফতার সামগ্রী।
এ সময় কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী, মিজানুর রহমান মিজান বলেন, ২০ হাজার দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি আমরা আমাদের এই ইউনিয়নে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি এ রমজান মাস উপলক্ষে সুলভ মূল্যে যেন ক্রেতাসাধারণ ক্রয় করতে পারে সে ব্যবস্থা করেছি। শিল্পপতিদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই লকডাউনে আপনারা যারা বিত্তশালী রয়েছেন গরীব ও মেহনতি মানুষের দিকে এগিয়ে আসুন।