মোত্তালিব সরকার
বগুড়া শেরপুর উপজেলার কুসুম্বি ইউনিয়নের বাগড়া হঠাৎপাড়া নামক এলাকায় গণ ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।
শেরপুর থানা এজাহারে করা তথ্য মতে জানা যায়, বগুড়ার ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ি ইউনিয়নের গোসাইবাড়ি চিতুলিয়া গ্রামের মো: আবিন সরকারের কন্যা ভুক্তভোগী মোছা:ফাতেমা খাতুন ওরফে ফতে(২৫) বিগত ১৫ এপ্রিল ২০২১ খ্রিঃ তারিখে,বাসা বাড়িতে কাজের খোঁজে বিকাল বেলা নিজ বাড়ী হতে বের হয়ে শেরপুরস্থ ধুনট মোড় এলাকায় আসে । বিভিন্ন বাড়িতে কাজের সন্ধান করিয়া রাত্রি অনুমান ০৮.০০ ঘটিকার দিকে বাড়ি ফেরার জন্য ধুনট মোড়ে পৌঁছায়। সেখানে সিএনজি গাড়ির জন্য অপেক্ষা করাকালে শেরপুর বাগড়া হঠাৎপাড়া এলাকার মোঃ আব্দুস সামাদের ছেলে মামুন প্রামানিক(৩৫) একই এলাকার আবুল শেখের ছেলে আব্দুল খালেক (৫০) শেরপুর পৌরসভা উত্তর সাহাপাড়া এলাকার মো: সাইফুল সরকারের ছেলে মোঃ সোহাগ সরকার(২২) বাদী ফাতেমা খাতুন এর নিকট আসে। ফাতেমা খাতুন তাদের সাথে কথা বলার একপর্যায়ে তারা জানায় যে, বাগড়া এলাকার একটা বাসায় কাজ আছে করবে কিনা? তখন ফাতেমা খাতুন ওরফে ফতে তাদের কথায় রাজি হয়ে তাদের সাথে আসামী মোঃ সোহাগ সরকারের রিক্সা যোগে বাগড়া হঠাৎপাড়ায় যায়। সেখানে ধর্ষকেরা ফাতেমা খাতুন ওরফে ফতেকে ফুসলিয়ে জনৈক আব্দুস সাত্তার এর পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। তখন রাত্রি অনুমান ০৯.০০ ঘটিকা। উক্ত পুকুরের দক্ষিন-পশ্চিম পাড়ে উল্লেখিত আসামীগণসহ আরো ০১জন ফাতেমা খাতুন ফতে কে ভয়ভীতি দেখাইয়া জোরপূর্বক পড়নের কাপড়-চোপড় খুলিয়া ধর্ষণ করিতে থাকে। ফাতেমা খাতুন ফতে চিৎকার করিলে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসিতে থাকিলে ধর্ষকেরা ফাতেমা খাতুন ফতে কে ছাড়িয়া দিয়া পালানোর চেষ্টা করে।
ধর্ষকেরা পালানোর সময় আশেপাশের লোকজন ধাওয়া করিয়া উল্লেখিত ০৩জন আসামীকে ধরিয়া ফেলে। তখন ০১জন আসামী পালাইয়া যায়। এলাকার লোকজন ধৃত আসামীসহ ফাতেমা খাতুন ফতে কে নিয়ে ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী জনৈক ধলু প্রাং এর ধান চাতালে নিয়ে যায়। সেখানে বহু লোকের সমাগম হয়। উপস্থিত লোকজন পলাতক আসামীর বিষয়ে ধৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসা করিলে ধৃত আসামীগণ পলাতক আসামী ৪। মোঃ দুলু শেখ (৩২), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-বাগড়া চকপোতা, থানা-শেরপুর, জেলা-বগুড়া বলে জানায়।
ঘটনা কবলিত এলাকার লোকজন থানায় সংবাদ দিলে থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়, ফাতেমা খাতুন ফতে এবং এলাকার লোকজনের নিকট ঘটনার বিস্তারিত শোনে আসামীদের হেফাজতে নেয়। ফাতেমা খাতুন ফতে থানায় হাজির হয়ে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী অফিসারঃ পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আবুল কালাম আজাদ এর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় ধর্ষকদের কে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।