নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি, আরিফঃ
করোনাভাইরাসের পদূর্ভাবের কারণে স্থবির হয়ে যাচ্ছে বিশ্ব, দেশ তথা জাতি। এই করোনা মহামারী ভাইরাস থেকে রক্ষার জন্য বাংলাদেশ সরকার সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছেন।
এই সর্বাত্বক লকডাউনের প্রথম দিন থেকে আজ অবধি এই লকডাউন বাস্তবায়ন করার জন্য ঢাকা চট্টগ্রাম এবং ঢাকা সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ এর অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান চেকপোস্ট স্হাপন করেছেন।
কড়া নজরদারির মাধ্যমে প্রতিদিন ভোর থেকে মহাসড়কের বিভিন্ন চেকপোষ্টে দায়িত্ব পালন করছেন হাইওয়ে পুলিশ।
কেউ যেন মুভমেন্ট পাস ছাড়া শহর থেকে বের হতে এবং শহরে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য নেওয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা এবং আযথা যেন কেউ ঘোরাঘুরি না করে সেজন্য দেওয়া হচ্ছে কঠোর নির্দেশনা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ এর প্রবেশদ্বার কাচপুর ,মদনপুর এবং মেঘনা টোল প্লাজার সামনে এসব চেকপোষ্ট স্থাপন করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ এবং এবং কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের উদ্যোগে এই লকডাউন বাস্তবায়ন করতে প্রয়োজনে আরও কঠোর ভূমিকা অবতীর্ণ হবেন বলে জানান।
ভাল মন মানসিকতা , বিচার বুদ্ধি, মূল্যবোধ ও উদার মন , ইচ্ছা শক্তি এবং দায়িত্ব কর্তব্যকাজে মনোযোগী হওয়া, তার অধিনস্তদের কর্তব্যকাজে একদিকে কড়াকড়ি শাসন অন্যদিকে ভালবাসা দেওয়া নিষ্ঠার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করাটা খুবই কঠিন কাজ। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে যে এ কাজ গুলো করে তার ইউনিটকে জ্ঞ্যানের মাধ্যমে শৃঙ্খলভাবে রাখতে পারেন তিনিই হচ্ছেন কর্তব্যপরায়ণ মানবিক গুণাবলীর অধিকারী। সরকারের অর্পিত দায়িত্ব পালন করা এবং মূল্যবোধের মাধ্যমে মানুষের প্রতি অতি সহজেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়াটাই হচ্ছে মানবিকতা। মানবিকতার মূল মন্ত্র হচ্ছে মানুষের কল্যাণ, জাতির কল্যাণ, সমাজের কল্যাণ, সাংস্কৃতিক কল্যাণ মোট কথা মানুষকে ভালবাসা দিয়ে আপন করে নেওয়া, মানুষের জন্য ভালা কিছু করা এবং মানুষের উন্নতি সাধন করার নামই মানবিকতা। গত বছর করোনার কারণে ৬৬ দিন দেশে লকডাউনের সময় অনেক পুলিশকে দেখেছি তাদের ব্যক্তিভাবে অসহায় গরীব মানুষকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করতে। মানুষের সেবা করতে গিয়ে বিভিন্ন পেশাজীবির মতো বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য করেনানায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন। পুলিশ সদস্যরা দিন রাত মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতন্দ্রপ্রহরীর মতো কাজ করে। জনগনের জানমাল ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধান, অপরাধ প্রতিরোধ ও দমনে প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকেন। তারা আমাদের সেবা দিচ্ছে বলেই আমরা নিশ্চিন্তে থাকতে পারছি, চলতে পারছি, কর্মজীবনে , ব্যবসা বাণিজ্যে সবকিছুইতেই বলতে গেলে স্বাধীনভাবে চলছি। শুধু আইন পালন আর অপরাধ প্রতিরোধ বা দমনই নয় দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। পুলিশ সদস্যরা তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা আর পেশাদারিত্ব দিয়ে অপরাধ মোকাবিলায় প্রতিনিয়ত সৃজনশীলতার পরিচয় দিচ্ছে। মানুষের শেষ ভরসা স্থলও হচ্ছে পুলিশ। আবার কোন কোন মানুষের ব্যক্তি স্বার্থহানি হলে পুলিশ নিয়ে বিরুপ মন্তব্যও করে থাকেন হরহামেশা, হয়তো না বুঝে না শুনে নিজের স্বার্থ না পেয়ে এটা করে থাকেন যা মোটেই সমীচিন নয়। পুলিশের হাতে গোনা দু একজন সদস্যের কোন অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য পুরো পুলিশ বাহিনীর বদনাম কোনভাবেই হতে পারেনা। হাতে গোনা দু একটা ছিটেফোটা ও বিচ্ছন্ন ঘটনার জন্য পুলিশ ও পুলিশকে আইনের দিক দিয়ে কোভাবেই ছাড় দেয়না যেটা আমরা অবলোকন করছি। একটু চোখ মেলে খুঁজলেই দেখতে পারি পুলিশের অসংখ্য সুনাম খ্যাতি এবং অবদান রয়েছে যা লিখে শেষ করা যাবেনা। একজন ন্যায় নিষ্ঠাবান কর্তব্যপরায়ণ পুলিশ অফিসার হিসেবে ব্যতিক্রম নন কাঁচপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামানও। গত ৪ মাস পূর্বে গাজীপুর রিজিয়ন পুলিশের কাঁচপুর হাইওয়ে থানায় যোগদেন তিনি।
মহাসড়কে ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি নিত্যদিনের সঙ্গী ছিল কিন্তু যোগদানের পরপরই তিনি নিজ উদ্যোগে অনেক কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন তার মধ্যে মহা সড়কে চাঁদাবাজি ডাকাতি ছিনতাই ইত্যাদি প্রতিরোধ গ্রেফতার এবং কঠোর নজরদারির মাধ্যমে সাফল্য তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কাঁচপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান। এবং মহাসড়কের পাশে নির্মিত অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করে মহাসড়কের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা প্রচেষ্টায় সফলতা অর্জন করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা যে যেখানেই থাকি না কেন নিজের দায়িত্ব যদি সত্যিকার অর্থে পালন করতে পারি তবে এত সমস্যা আমাদের মাঝে আর থাকবেনা। মহাসড়ক সকলের সম্পদ এবং রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। রাষ্ট্রের এই সম্পদ কেউ যেন বিকৃত করতে না পারে সেজন্য আমরা হাইওয়ে পুলিশ সর্বদা সজাগ আছি এবং থাকব।
লকডাউন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তিনি আরো বলেন বাংলাদেশ সরকার যে সর্বাত্তক লকডাউনের ঘোষণা করেছেন এই লকডাউন বাস্তবায়নে আমরা সার্বক্ষণিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এ পর্যন্ত তিনশত মামলা বিভিন্ন পরিবহন কে দেওয়া হয়েছে। যদি সরকারের সিদ্ধান্ত অমান্য করে তবে আমরা আরও কঠোর ভূমিকা যেতে বাধ্য হব।