নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য মোস্তফা হোসেন চৌধুরী। যিনি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমানের অত্যন্ত আস্থাভাজন প্রিয় ব্যক্তিত্ব।
সারা বিশ্বের ন্যায় আমাদের বাংলাদেশেও করোনার ভয়াল থাবা আঘাত হেনেছিল। ঠিক সেইসময় ঢাকা বিভাগের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলা রেড জোনে পরিণত হয়েছিল। নারায়ণগঞ্জ থেকে অন্য জেলায় যাওয়ার পথ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছিল। মানুষ যখন ঘর থেকে বের হতে ভয় পেত কিংবা পরিবারের আপনজন যখন কাছের মানুষটির লাশ দাফন করতে ভয় পেয়েছিল ঠিক তখন নারায়ণগঞ্জের করোনা যোদ্ধা মোস্তফা হোসেন চৌধুরী তার টিম মোস্তফা-১৯ এর মাধ্যমে এক ঝাঁক তরুণদের নিয়ে জীবনের মায়া ত্যাগ করে মানুষের লাশ দাফনের ব্যবস্থা নেন। এছাড়াও, তিনি কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মনিরুল আলম সেন্টু, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান যখন করোনা দুর্যোগকালীন সময়ে মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেছিলেন, মানুষকে সচেতনতা দিয়েছিলেন তখন এই মোস্তফা হোসেন চৌধুরী সর্বসময় তাদের সাথে বন্ধুত্বসুলভ হয়ে পাশে ছিলেন। বিশেষ করে, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী হাজী আহসান উদ্দিনের পরিবারের ১৭ জন যখন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল তখনো তিনি সচেতনতার জন্য কাজ করেছিলেন।
শুধু তাই নয়, তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হবার পর থেকে রাস্তাঘাট উন্নয়নের রেখেছেন অগ্রণী ভূমিকা। এমন একজন মানুষকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য হিসাবে কুতুবপুর, এনায়েতনগর, ফতুল্লা বাসী বার বার তাকে নির্বাচিত করতে চায়।
এই করোনা যোদ্ধা মোঃ মোস্তফা হোসেন চৌধুরী, মানব সেবায় কাজ করতে গিয়ে নিজেও পরিবারসহ আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চিকিৎসকের চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। করোনার টিকা দিয়ে বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন। তবুও তার টিম মোস্তফা-১৯ এর মাধ্যমে করোনার দ্বিতীয় ভয়াবহ প্রকোপেও লাশ দাফন কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছেন।
তিনি প্রতিবেদক এর সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি, আমি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে খুব ছোট ছিলাম। মুক্তিযোদ্ধারা যদি যুদ্ধ করে দেশটা স্বাধীন করতে পারে তাহলে আমরা কেন দেশের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারবো না। আমাদের বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে অনেক উন্নত রাষ্ট্রও করোনার কারণে ভয়াবহ অবস্থায় রয়েছে কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু পরিচালনায় আমাদের দেশ অত্যন্ত ভালো আছে। তবে আমাদেরকে সর্ব সময় সচেতন করতে হবে। কারণ পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। তাই ঘর থেকে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করে বের হবেন।