নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বঙ্গবন্ধু কন্যা, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃনমূল আওয়ামী লীগকে সর্বসময় মূল্যায়ন করে যাচ্ছেন।
যারা রাজপথে থেকে জামায়াত-বিএনপির নির্মম নির্যাতন সহ্য করেও বঙ্গবন্ধু এবং জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ভালোবেসে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে যাচ্ছেন তাদেরকেই আসন্ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিল সমাবেশে প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন এর তৃণমূল পর্যায়ে মূল্যায়ন করা হবে।
সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব আবু আহমেদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের প্রতিটি ওয়ার্ডে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
বিশেষ করে ঢাকা-০৫ এর তৃনমূল আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে, ঢাকা-০৫ আসন সংসদ সদস্য, যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগ, সভাপতি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সম্পর্কিত মন্ত্রণালয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুল ইসলাম মনু এমপি এবং যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, প্রধান সমন্বয়ক, ঢাকা-০৫ উপ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির হারুনর রশীদ মুন্না ঢাকা-০৫ আসনের প্রতিটি ওয়ার্ডে যেন যোগ্য তৃণমূল আওয়ামী লীগের ত্যাগী কর্মীরা মূল্যায়ন পায় সেজন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
আসছে ২৩ ই জুন আওয়ামী লীগের ৭২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। সেই লক্ষ্যে প্রতিবেদক এর সাথে ৬০ নং ওয়ার্ডের ত্যাগী তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোস্তফা হাসমত তাঁর রাজনৈতিক জীবনের গল্প নিয়ে বিশেষ সাক্ষাৎকার বিনিময় করেন। এসময় তিনি তার রাজনৈতিক জীবনের গল্প প্রতিবেদক এর মাধ্যমে তুলে ধরেন,
আমি মোঃ গোলাম মোস্তফা হাসমত। ১৭ মে ১৯৮১ ইং সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন কিশোর বয়সের ছাত্রলীগের এক বড় ভাইয়ের সাথে তেজগাঁও বিমানবন্দরে উপস্থিত হই। এরপর ১৯৮৮ ইং সালের বন্যার সময় নুরপুর ইউনিট আওয়ামী লীগের সাথে ত্রাণ বিতরণের মাধ্যমে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করি। ১৯৮৯ ইং সালে বৃহত্তর দনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করি ১৯৯৯ ইং সাল পর্যন্ত। ১৯৯৯ ইং সালে দনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ দুই ভাগে বিভক্ত হয়। ১৯৮৯ ইং সালে আমার সহধর্মিনী মর্জিনা মোস্তফা দনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের মহিলা সম্পাদিকার দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৯ ইং সাল পর্যন্ত। ১৯৯৯ ইং সাল হইতে ২০১৪ ইং সাল পর্যন্ত দনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ (দঃ) এর সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করি। ১৯৯০ ইং সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করি। ১৯৯১ ইং সালে জাতীয় নির্বাচনে সাইফুদ্দিন মানিকের পক্ষে নির্বাচন কর্মকাণ্ড চালাই। তখন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সদস্য সচিব ছিলাম। ১৯৯৬ ইং সালে বিএনপি জামাতের ১৫ই ফেব্রুয়ারির নির্বাচন প্রতিহত ও অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার সময় শনির আখড়া বিশ্বরোড হইতে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করি। তৎকালীন মেয়র মোঃ হানিফ ভাইয়ের নেতৃত্বে জনতার মঞ্চ আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করি। ১৯৯৬ ইং সালে ঢাকা-০৪ ও ঢাকা-০৫ আসনে তৎকালীন বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান মোল্লা সাহেবের পক্ষে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে বিজয়ী করি। সেই সময় দনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্বে ছিলাম।
১৯৯৮ ইং সালের বন্যার সময় দনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় নেতা আমির হোসেন আমু, মোজাফফর হোসেন পল্টু, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আক্তারুল আলম, ঢাকা-০৪ ও ঢাকা-০৫ আসনের তৎকালীন এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব হাবিবুর রহমান মোল্লা, সাবেক ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশীদ মুন্নার উপস্থিতিতে দনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ করি। ২০০১ ইং সালে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে ০২ (দুই) মাস কারাবরণ করি। সেই সময় দনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ (দঃ) নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক এর দায়িত্বে ছিলাম। ১/১১ এর সময় জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করি।
২০০৮ ইং সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান মোল্লার পক্ষে কাজ করে বিজয়ী করি। সেই সময় দনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ (দঃ) নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ন আহবায়ক এর দায়িত্বে ছিলাম এবং বর্ণমালা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের কেন্দ্রভিত্তিক কমিটির আহ্বায়ক ছিলাম। ২০১৪ ইং সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান মোল্লার পক্ষে কাজ করে বিজয়ী করি। সেই সময় দনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ (দঃ) নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক, যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য এবং বর্ণমালা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের কেন্দ্রভিত্তিক কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলাম। ২০১৪ ইং সাল হইতে যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের ও দনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাথে রাজনীতি করে আসছি। ২০১৮ ইং সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান মোল্লার পক্ষে কাজ করে বিজয়ী করি। সেই সময়, যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য এবং বর্ণমালা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের কেন্দ্রভিত্তিক কমিটির আহ্বায়ক ছিলাম। এরপর, ২০২০ ইং সালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার জনাব শেখ ফজলে নূর তাপসের পক্ষে কাজ করে বিজয়ী করি। এ সময় আমি যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য এবং বর্ণমালা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের কেন্দ্রভিত্তিক কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলাম। ২০২০ ইং সালে আমার শ্রদ্ধেয় প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুর কারণে ২০২০ ইং সালে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কাজী মনিরুল ইসলাম মনু ভাইয়ের পক্ষে কাজ করে বিজয়ী করি। এ সময় আমি যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য,৬০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব এবং বর্ণমালা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রভিত্তিক কমিটির আহ্বায়ক ছিলাম। এছাড়াও আমি জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করি। যুদ্ধাপরাধীদের সুষ্ঠু বিচারের লক্ষ্যে জামায়াত-শিবিরের নৈরাজ্য প্রতিহত করতে আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করি। আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় আমার মোট ১৩ টি মামলা হয় এবং আমি কারাবরণ করি (১৯৯১-১৯৯৬) ও (২০০১-২০০৬) ইং সাল পর্যন্ত। এখনো জামায়াত-বিএনপির হেফাজত অপশক্তিরা যখন দেশটাকে অশান্তিতে পরিণত করতে চায় তখনই রাজপথে আমি থাকি সব সময়।
এছাড়াও আমি বর্তমানে, নুরপুর পঞ্চায়েত ও সমাজ উন্নয়ন কমিটি এবং বাইতুন নুর জামে মসজিদ কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্বে রয়েছি। পাশাপাশি দনিয়া পাঠাগার এবং গন ছায়া, সংস্কৃতি ও নাট্যগোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে দায়িত্বরত আছি।
আমি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি কালীন সময় আমার নেতা কাজী মনিরুল ইসলাম মনু এবং হারুনর রশীদ মুন্না ভাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ৬০ নং ওয়ার্ডের অসহায় কর্মহীন মানুষের মাঝে খাবার পৌঁছে দিতে চেষ্টা করেছি, রাতের আধারে মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়েছি। শীত কালীন সময়ে শীত বস্ত্র বিতরণ করেছি এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিও পালন করেছি।
আমি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদর্শের সৈনিক হয়ে ৬০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে যাচ্ছি। আমি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ৬০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্যান্ডিডেট। আমি সভাপতির দায়িত্ব পাই বা না পাই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রীর রাজপথের সৈনিক হয়ে অতীতের মতো বর্তমানে এবং জীবনের শেষ অব্দি পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ভাই সহ আমাদের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব আবু আহমেদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর, ঢাকা-৫ আসন সংসদ সদস্য, যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগ, সভাপতি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সম্পর্কিত মন্ত্রণালয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুল ইসলাম মনু এমপি এবং যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, প্রধান সমন্বয়ক, ঢাকা-৫ উপ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির হারুনর রশীদ মুন্নার নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সকল অপকর্ম নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম ও ভবিষ্যৎ সোচ্চার থাকবো এবং আওয়ামী লীগ পরিবারের সাথে সুদিনে ও দুর্দিনে পাশে ছিলাম আগামীতেও থাকবো ইনশাআল্লাহ।
সর্বশেষে তিনি, আসন্ন আওয়ামী লীগের ৭২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা-০৫ এর ৬০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ পরিবারের সকল সদস্যবৃন্দ সহ দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব আবু আহমেদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর, ঢাকা-৫ আসন সংসদ সদস্য, যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগ, সভাপতি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সম্পর্কিত মন্ত্রণালয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুল ইসলাম মনু এমপি ও যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, প্রধান সমন্বয়ক, ঢাকা-৫ উপ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির হারুনর রশীদ মুন্না এবং ঢাকা-০৫ এর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের সকল নেতাকর্মীদের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানান।