বিশেষ প্রতিনিধিঃ ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন ইয়ারপুর ইউনিয়নের জামগড়া মোল্লাবাড়ি এলাকার মোঃ সাইফুল ইসলাম মোল্লা’র বাড়িতে তার ছেলের অন্তঃসত্তা স্ত্রীর স্বীকৃতি চেয়ে অনশন এর ঘটনা ঘটেছে। প্রেমের সম্পর্কের এক পর্যায়ে বিয়ে এবং ৯ মাসের বিয়ের সময়ের মধ্যে দুই মাসের অন্তঃসত্তা হওয়ায় তাকে মেনে না নেওয়ার কারণে অনশন করেছেন বলে জানান ভিকটিম (১৮)। জানা গেছে, শুক্রবার (৯জুলাই ২০২১ইং) দুপুর ১২টা থেকে অনশন শুরু করেন ভিকটিম ওই নারী, প্রায় ৮ ঘন্টা অনশন করার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর (বিবাদী) আমির হোসেন মোল্লা (১৯), এর বাবা সাইফুল ইসলাম মোল্লা ও স্থানীয়দের সাথে আলোচনায় বসেন, আলোচনা শেষে রাত ৯টার দিকে অনশনকারী অন্তঃসত্তা নারীকে দীর্ঘ সময় বুঝিয়ে ভিকটিমের পক্ষে তার মা ও বিবাদীর পক্ষে তার বাবা স্থানীয় মাদবর প্রধানদের নিয়ে মিমাংসার চেষ্টা করেন। এরপর বরাবর, মাননীয় নোটারী পাবলিক, ঢাকা, বাংলাদেশ। “হলফনামা/অঙ্গীকারনামা” এর মাধ্যমে উভয় পক্ষদ্বয়, দ্রুত ঢাকা জেলাস্থ আশুলিয়া থানাধীন জামগড়ার মোল্লাবাড়ী, (বিবাদী ) ১ মোঃ আমির হোসেন মোল্লা’র পিতা মোঃ সাইফুল ইসলাম মোল্লার বাড়িতে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ লইয়া ২য় পক্ষসহ বসিয়া একটি শালিস বৈঠক-গঠন পূর্বক শালিস এবং স্থানীয় উভয় পক্ষের গন্যমান্য ব্যাক্তিগণের উপস্থিতে প্রথম পক্ষ (বাদী) ও ২য় পক্ষ (বিবাদী) উভয়ে একে অপরের সহিত আপোষ মিমাংসা করিয়া লইবেন মর্মে হলফনামা সম্পাদন করতঃ অঙ্গীকার করেন। পরবর্তীতে ২য় পক্ষ (বিবাদী) মোঃ আমির হোসেন মোল্লা স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের মাধ্যমে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ১ম পক্ষ (বিবাদী) ভিকটিমকে ২য় পক্ষ (বিবাদী) তার বিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে ঘর-সংসার করার ইচ্ছা প্রকাশ না করায় জামগড়া বিবাদীর বাড়িতে বাদী উপস্থিত হলে স্থানীয় ব্যাক্তিগন নিকাহ রেজিষ্টার বা কাবিন নামা যাচাই- বাছাই করে, ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন (২০০৯-এর বিধি) এর বিধান মতে, শালিসের মাধ্যমে উভয় পক্ষ একে অপরের ভুল, ক্রটি, ক্ষমা প্রদান করায় ১ম পক্ষ (বাদী), ২য় পক্ষ (বিবাদী) এর সহিত আপোষ মিমাংসা করিবেন বলিয়া অঙ্গীকার করেছেন। প্রকাশ থাকে যে, এই আপোষ- মিমাংসার অঙ্গীকার নামায় সাক্ষর প্রদানে, কেউ কোনরূপ ভয়ভীতি পদর্শন করে নাই বা কেহ ফুসলাইয়া রাজি করায় নাই বা কেহ কোনরূপ প্ররোচিত করে নাই বা অপহরণ করে চাপ প্রয়োগ করে নাই এবং উভয় পক্ষের ইচ্ছার বিরুদ্ধেও করা হয় নাই। পরবর্তীতে প্রথম পক্ষ ও ২য় পক্ষ-কোন পক্ষই একে অপরের প্রতি কোনরূপ অন্যায়, অবিচার, অত্যাচার ও মানহানিকর কার্য্য করিবেন না, এমনকি কোনো পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে হিংসা-বিদ্বেষমূলক কোনরূপ মামলা-মোকদ্দমা করিতে পারিবে না, করিলে অত্র আপোষ/হলফনামাবলে তাহাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গৃহীত হইবে। তহাতেও কাহারো কোন আপত্তি থাকিবে না, থাকিলে উহা আইনতঃ অগ্রাহ্য বলিয়া গন্য হইবে। যদি কেহ ইহা অস্বীকার করে তবে এই আপোষ/হলফনামা বলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় আইনের আওতায় এনে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশি অ্যাকশন এবং ফৌজদারী কার্যবিধিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া যাবে। রাষ্ট্রীয় আইনের প্রতি যথা যথ শ্রদ্ধা ও সম্মান রেখে এবং মানবিক দিক বিবেচনা করে সকল পক্ষই আপোষ/হলফনামা মানিয়া চলার অঙ্গীকার করছেন। অত্র চুক্তিপত্র বা অঙ্গীকারনামা মোট ৩০০/= টাকার নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্প ব্যবহার করে সম্পাদন করা হয়েছে। প্রথম পক্ষের বাদী ভিকটিমের মা রাবেয়া ও ২য় পক্ষের (বিবাদী) মোঃ আমির হোসেন মোল্লার পক্ষে তার বাবা মোঃ সাইফুল ইসলাম মোল্লা উক্ত অঙ্গীকারনামায় সাক্ষর করেছেন। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, আশুলিয়ার জামগড়া মোল্লাবাড়ির কৃতি সন্তান মোঃ সাইফুল ইসলাম মোল্লার ভাড়া বাড়িতে যেকোনো নারী ঘটিত ঘটনা ঘটলে তিনি জড়িত থাকেন এবং একাধিক অভিযোগ ও মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আশুলিয়া থানার মামলা নং ৪২। তারিখ ১৫/১০/ ২০২০ইং। ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনী (২০০৩) এর ৯, (১) ৭/৩০। স্থানীয়রা অনেকেই বলেন, উক্ত ভুক্তভোগী ভিকটিম নারীর বাবা নেই এতিম অসহায়। সাইফুল ইসলাম মোল্লার ছেলে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে ৮ মাস আগে বিয়ে করেছেন, এখন মেয়েটি অন্তঃসত্তা হয়েছে তাই তাকে আর ভালো লাগেনা, এখন তালাক দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। অনেকেই জানান, সাইফুল ইসলাম মোল্লা ও তার ছেলে আমির হোসেন মোল্লা’র ব্যবহার ও চরিত্র তেমন ভালো না। এই অসহায় এতিম মেয়েটিকে তারা এখন মেনে নিতে চাচ্ছে না, বিবাদীর কথা কোটি টাকা খরচ হলেও এই মেয়েটিকে তারা মেনে নিবে না বলে স্থানীয়রা অনেকেই জানান।