রাহাদ হোসেনঃ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান হিসেবে দেশের উন্নয়নে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কিন্তু ফিরে দেখা, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার চেয়েছিল বঙ্গবন্ধু কন্যাকে অবরুদ্ধ করে রাখতে, চেয়েছিল বাংলার গণতন্ত্রকে চিরতরে নিঃশেষ করে দিতে।
২০০৭ সালের ১৬ জুলাইয়ের সেই সময় এর বর্ণনা দিতে গিয়ে প্রতিবেদককে বিশেষ সাক্ষাৎকারে বৃহত্তম ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা-৫ নির্বাচনী এলাকার প্রধান সমন্বয়ক, রাজপথের ত্যাগী নেতা হারুনর রশীদ মুন্না বলেন,
১৬ জুলাই, ২০০৭ সাল শুধুমাত্র জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা কে অবরুদ্ধ করেননি, অবরুদ্ধ করেছিল বাংলাদেশের গনতন্ত্রকে।
সেদিন সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার যখন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে সিএমএম আদালতে নিয়ে আসে তখন ঢাকা-৫ আসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা বেগম মতিয়া চৌধুরীর নির্দেশে আমি ডেমরা-যাত্রাবাড়ী এলাকার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে আদালত প্রাঙ্গনে অবস্থান গ্রহণ করেছিলাম। সেসময়ে পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করলে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ ভাই কৌশলে পুলিশের নিকট হতে আমাকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে আনেন। ঐদিন বিকেলে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অন্যায়ভাবে কারাগারে প্রদানের প্রতিবাদে প্রতিরোধ ও প্রতিবাদ মিছিল করার চেষ্টা করলে আমাকে প্রধান আসামি করে আরো ২০ থেকে ২৫ জন নেতা-কর্মীর নামে ডেমরা থানায় বিশেষ আইনে মামলা হয়। উক্ত মামলার গ্রেফতারের বিষয় পরোয়া না করে আমি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করি।
জাতির পিতার ন্যায় তার যোগ্য কন্যাও দেশের স্বার্থে এবং বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থে কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করেননি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি একমাত্র দেশরত্ন শেখ হাসিনা ভালো থাকলে বাংলাদেশ ভালো থাকবে।
জয় বাংলা,
জয় বঙ্গবন্ধু।