নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কদমতলী থানাধীন মেরাজনগর এলাকার মেহনতি ও দুঃখী মানুষের চোখের জল মুছে দিতে সর্ব সময় বদ্ধপরিকর ছিলেন মালেক সংসদের সদস্য মেহেদী হাসান বাবুল। করোনা দুর্যোগ গ্রস্ত মানুষের মাঝে একজন যোদ্ধা হয়ে মালেক সংসদের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মুন্সির নির্দেশনা অনুযায়ী অসহায় মানুষের মাঝে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন এই তরুণ সমাজসেবক বাবুল। এইতো রোজার সময় প্রতিদিন ইফতার সামগ্রী মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। শুধু তাই নয়, কদমতলী থানাধীন স্বপ্নপূরণ পাঠশালার শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার পৌঁছে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা হল নূরের প্রজ্বলিত আলো। সেই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের যেন শীতের সময় ঘুমোতে কষ্ট না হয় সেজন্য কম্বল বিতরণ করেছিলেন। কিন্তু গত ২৫ জুন তার বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয় এবং দীর্ঘ কয়েক দিন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতবাস করেন।
এ ব্যাপারে প্রতিবেদককে মেহেদি হাসান বাবুল বলেন, কুখ্যাত সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও একাধিক মামলার আসামি চৌধুরী আলম, হৃদয় ওদের মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় গত ২৫ জুন আমার বিরুদ্ধে ১টি মিথ্যে মামলা দায়ের করে। এরপর প্রশাসনের সামনে এক ঘন্টা যাবত আমার সারা শরীরে নির্যাতন করা হয় এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আমাকে হাজতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। আল্লাহর অশেষ রহমতে আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে আসার সাথে সাথেই আমি যখন বন্যার্ত মানুষের সেবার জন্য কাজ করতে চাচ্ছিলাম এই মাদক ব্যবসায়ীরা আমার মানিব্যাগ থাকা নগদ ১৫,০০০/-(পনের হাজার) টাকা, মানি ব্যাগে থাকা এনআইডি কার্ড, মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। আমাকে পুনরায় মিথ্যা মামলা দেওয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। আমি উল্লেখিত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমি বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজপথের কর্মী। মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ করায় যদি আমার অপরাধ হয় তাহলে আমরা তরুণ সমাজসেবকরা কোথায় যাব? আমি এই মাদক ব্যবসায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আপনারা মিডিয়াকর্মীরা সুষ্ঠু তদন্ত করে এই ৫৯ ও ৬০ নং ওয়ার্ডের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করবেন যাতে করে আমরা তরুণ সমাজসেবকরা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন মাদকমুক্ত দেশ গড়া সফলভাবে সম্ভব করতে পারি।