নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোকের মাস। এদিন বঙ্গবন্ধু সহ তার পরিবারের সদস্যদের সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। শুধু বেঁচে গিয়েছিল, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার বোন শেখ রেহানা। সেই লক্ষে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও সারাদেশব্যাপী আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী অঙ্গ সংগঠন এবং সর্বস্তরের জনগণ শোক দিবস পালন করবে। ঠিক সেই সময়, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের তাঁতীলীগ সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফির ভিন্ন দুই ধরনের কার্ড ছাপানো নিয়ে চলছে ভিন্ন ধরনের মতবাদ।
এ প্রসঙ্গে কুতুবপুর ইউনিয়ন তাঁতীলীগ সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফি বলেন, ১৫ ই আগস্টের ছাপানো প্রথম কার্ড টি ভুল হয়েছে পরবর্তীতে আবার ঠিক করেছি। এই জন্য আমি দুঃখিত। মানুষ মাত্রই ভুল তার জন্য এই বিষয় নিয়ে সংবাদপত্রে যে নিউজ এসেছে তাহার আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সাংবাদিক ভাইদের কাছে কেউ বা কাহারা ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে। আমি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, চাঁদাবাজি যারা করে তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার। কার্ডে ভুল হয়েছে কিন্তু চাঁদাবাজির যে প্রশ্ন উঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। এছাড়া, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি নির্মূলে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। যদি এ ধরনের ঘটনা সত্যি হয়ে থাকে তাহলে আমাকে যে কোন শাস্তি দিলে আমি তা মাথা পেতে নিব। কিন্তু, শোকের মাসে বঙ্গবন্ধু ও তার শহীদ পরিবারের জন্য গভীর শ্রদ্ধা জানানোর যে কর্মসূচি নিয়েছি তা ব্যাহত করার জন্য যদি কেউ অপপ্রচার চালায় এবং তা যদি প্রমাণিত না হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। ভালো কাজের পিছনেই মানুষ লেগে থাকে। এই মাসে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার জন্মদিনেও আমি বনানীতে নেতাকর্মীদের সাথে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে গিয়েছিলাম।
আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের ত্যাগী কর্মীরা চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী নির্মূল করে কিন্তু চাঁদাবাজি করে না। এই শোকের মাসে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল শহীদ সদস্যের প্রতি রইল আমার গভীর শ্রদ্ধা এবং দোয়া। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করি।