নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমান এর নির্দেশনা অনুযায়ী রাজপথে ছিলেন মোঃ শফিকুল ইসলাম শফি, সভাপতি, কুতুবপুর ইউনিয়ন তাঁতীলীগ এবং মোঃ মাহবুবুর রহমান, সভাপতি, আওয়ামী মটর শ্রমিক লীগ ফতুল্লা থানা, কার্যকরী সভাপতি নারায়ণগঞ্জ জেলা, এমনটাই জানালেন তারা দুজন।
এই মাস শোকের মাস।এই শোকের মাসে বঙ্গবন্ধুর ৪৬ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি ও দোয়ার জন্য ১৫ ই আগস্ট উপলক্ষে অনুষ্ঠানের জন্য ১টি কার্ড নিয়ে ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার আলাউদ্দিন হাওলাদারের কাছে যান কুতুবপুর ইউনিয়ন তাঁতীলীগ সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফি এবং যুবলীগ নেতা মুন্না।
এসময় মেম্বার আলাউদ্দিন হাওলাদার তাদের কার্ডে নাম ভুল থাকায় কার্ডটি গ্রহণ করেননি।ঠিক তার কিছুক্ষণ আগে সংগঠনের একটি বিষয় নিয়ে আলাউদ্দিন মেম্বারের অফিসে যায় মাহবুবুর রহমান।
মোঃ মাহাবুবুর রহমান প্রতিবেদককে জানান, আলাউদ্দিন মেম্বার আমার শ্রদ্ধেয় বড় ভাইয়ের মত। যেহেতু তিনি আমাদের কুতুবপুর ইউনিয়নের ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার তার কাছে যেকোনো বিষয়ে আমি সর্বসময় যাই এবং তিনিও আমাকে সাংগঠনিক বিষয়ে পরামর্শ এবং হেল্প করেন। ঘটনার দিন তখন শফিক এবং মুন্নার কার্ডটি আলাউদ্দিন মেম্বার ভাই গ্রহণ করে নাই। তাদের সাথে পারস্পরিক সমস্যার কারণে কথা-কাটাকাটি হয়। যেহেতু সামনে ১৫ ই আগস্ট আলাউদ্দিন মেম্বারের সাথে ওদের মিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু সম্প্রতি আমাকে জড়িয়ে বেশ কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে নিউজ হয়। যাহার সম্পর্কে আমি অবগত নয়। আমি বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসি বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করি। আমাকে জড়িয়ে যে নিউজ হয়েছে তার জন্য আমি আমাদের কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি জসীমউদ্দীন ভাইকেও বিষয়টি জানিয়েছি। কারণ, সেদিন মেম্বার আলাউদ্দিন ভাই আমার সাথে অত্যন্ত ভালো ব্যবহার করেছেন।
অন্যদিকে এ বিষয়ে শফিকুল ইসলাম শফি বলেন, ১৫ ই আগস্টের ছাপানো প্রথম কার্ড টি ভুল হয়েছে পরবর্তীতে আবার ঠিক করেছি। এই জন্য আমি দুঃখিত। মানুষ মাত্রই ভুল তার জন্য এই বিষয় নিয়ে সংবাদপত্রে যে নিউজ এসেছে তাহার আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সাংবাদিক ভাইদের কাছে কেউ বা কাহারা ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে। আমি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, চাঁদাবাজি যারা করে তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার। কার্ডে ভুল হয়েছে কিন্তু চাঁদাবাজির যে প্রশ্ন উঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। এছাড়া, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি নির্মূলে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। যদি এ ধরনের ঘটনা সত্যি হয়ে থাকে তাহলে আমাকে যে কোন শাস্তি দিলে আমি তা মাথা পেতে নিব। কিন্তু, শোকের মাসে বঙ্গবন্ধু ও তার শহীদ পরিবারের জন্য গভীর শ্রদ্ধা জানানোর যে কর্মসূচি নিয়েছি তা ব্যাহত করার জন্য যদি কেউ অপপ্রচার চালায় এবং তা যদি প্রমাণিত না হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। ভালো কাজের পিছনেই মানুষ লেগে থাকে। কার্ড এর ভুল আমরা সংশোধন করেছি এবং আমাদের শ্রদ্ধেয় ৫ নং ওয়ার্ড আলাউদ্দিন মেম্বার ভাইকে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি আমাদের অত্যন্ত ভাল জানেন। এই মাসে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার জন্মদিনেও আমি বনানীতে নেতাকর্মীদের সাথে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে গিয়েছিলাম।
এরপর তারা দুজনেই বলেন, আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন একে অপরের পরিপূরক। আর যার সম্মান বা মূল্যায়ন যতটুকু ঠিক ততটুকুই আমরা দুজন করতে চেষ্টা করি। আমাদের শ্রদ্ধেয় প্রবীণ নেতাদের আমরা সম্মান করি কারণ তাদের থেকেই আমরা রাজনীতির শিক্ষা অর্জন করি। এর মাঝে এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মহল থাকে যারা সংগঠনের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করার জন্য খন্দকার মোশতাকের মত পৈশাচিক ষড়যন্ত্রে এখনো লিপ্ত হয়। যারা সাংবাদিক ভাইদের ভুল তথ্য দিয়ে থাকে মাঝেমধ্যে। সাংবাদিক ভাইদের কাছে অনুরোধ আপনারা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করুন অন্যায় কে তুলে ধরুন সে আমরা হই বা অন্য কেউ হোক। তবে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করবেন না। কারণ আপনারা জাতির বিবেক।
আমাদের দু জনের বিরুদ্ধে যে সকল তথ্য দেওয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ, মিথ্যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। আমরা দুজন এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।