রাহাদ হোসেনঃ ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক এর মাস। এই মাসে বাঙালি হারিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সকল সদস্যকে। আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে বেঁচে গিয়েছিলেন সেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা।
২০/৮/২১ ইং তারিখ শুক্রবার ৬৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের উদ্যোগে এশারের নামাজের পর ১৫ই আগস্ট উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা, বঙ্গবন্ধু ও তার শহীদ পরিবারের জন্য বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও তবারক বিতরণ করা হয়।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা-৫ নির্বাচনী এলাকার প্রধান সমন্বয়ক, যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ত্যাগী ও পরিশ্রমি নেতা জননেতা হারুনর রশীদ মুন্নার অত্যন্ত আস্থাভাজন স্নেহের ছোট বোন সমতুল্য তরুণ প্রজন্মের রাজনীতিবিদ রজনী আক্তার টুসি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগ নেতা, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ বোরহান বেপারী সহ ৬৭ নং ওয়ার্ডের ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও এলাকার মুরুব্বিগন।
আয়োজনটি সভাপতিত্ব করেন, ৬৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ মজিবুর রহমান (দুলাল)।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সংক্ষেপে রজনী আক্তার টুসি বলেন, আমি প্রথমে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। যার জন্ম না হলে হয়তো আমাদের বাংলাদেশের জন্ম হতো না। আমরা হয়তো বাংলায় কথা বলতে পারতাম না। আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল শহীদ সদস্যের প্রতি এবং মুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি।
তিনি আরো বলেন,আমি আপনাদের সন্তান। আমার বাবা এই ডেমরার একজন ত্যাগী রাজনীতিবিদ ছিলেন। আমি ডেমরার মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। আমি ডেমরার মানুষদেরকে অত্যন্ত ভালোবাসি।
আমি যতদিন বাচবো আমার নেতা হারুনর রশীদ মুন্না ভাইয়ের কর্মী হয়ে দেশের জনগণের স্বার্থে, ডেমরাবাসীর স্বার্থে আমি কাজ করবো। আমি ভালোবাসি আমার এলাকার মানুষদেরকে। আমার প্রথম লক্ষ মানুষের সেবা করা। আমার জন্য সকলে দোয়া করবেন।
যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হারুনর রশীদ মুন্নাভাই একজন কর্মী বান্ধব নেতা। ঢাকা-৫ এমপি তৈরি করার কারিগর। ১৫ ই আগস্টের এই মাসে তার পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু ও তার শহীদ পরিবারের প্রতি আমি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। বিশেষ করে, আজকের আয়োজন এর প্রধান অতিথি রজনী আক্তার টুসি আমার ছোট বোন ডেমরা এলাকার রাজনীতিতে অনেক দূর এগিয়ে যাক সেই দোয়া করি। তিনি ব্যারিস্টারি পাস করে এই ডেমরার উন্নয়নে হারুনর রশীদ মুন্না ভাইয়ের হাতকে শক্তিশালী করতে, ঢাকা-৫ এর আওতাধীন ডেমরা এলাকার আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে এবং এলাকার উন্নয়নে কাজ করুক সেই দোয়াই করি।
যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ বোরহান বেপারী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের বাংলাদেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ওই বিএনপি-জামায়াতের ৭৫ এর ঘাতকেরা এখনো বাংলাদেশকে একটি অস্থিতিশীল রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। আমরা ঢাকা-৫ আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে হারুনর রশীদ মুন্না ভাইয়ের নেতৃত্বে এগিয়ে যেতে চাই। সর্বশেষে, ১৫ ই আগস্ট এর বঙ্গবন্ধু ও তার শহীদ পরিবারের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য দোয়া ও তবারকের এত সুন্দর আয়োজন করার জন্য ছোট বোন সমতুল্য আজকের প্রধান অতিথি রজনী আক্তার টুপিকে ধন্যবাদ জানাই।
আয়োজনটির সভাপতি, ৬৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ মজিবুর রহমান দুলাল বলেন, আমরা ডেমরাবাসী আমাদের ছোট বোন রজনী আক্তার টুসি কে আগামী রাজনীতিতে এগিয়ে নিয়ে যাব। আমাদের কর্মীবান্ধব নেতা হারুনর রশীদ মুন্না ভাই দুঃসময়ে সর্বসময় আমাদের কর্মীদের পাশে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু ও তার শহীদ পরিবারের স্মরণে এত সুন্দর একটি প্রোগ্রামে মুরুব্বিরা উপস্থিত আছেন তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাই। তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, আমাদের ডেমরায় যেসকল সমস্যা আছে আপনারা জানাবেন, আমাদের নেতা হারুনর রশীদ মুন্না ভাই সেই সমস্যার সমাধান করবে। আমাদের এলাকার রাস্তাঘাট এর অনেক সমস্যা এগুলো নিরসন করতে আমরা আগামী দিনে হারুনর রশীদ মুন্না ভাই কে ঢাকা-৫ এর এমপি হিসেবে দেখতে চাই।