নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দেশের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনের অন্যতম পুরোধা সংগঠন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট৷ ১৯৮০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনটিকে সমীহ করতেন তৎকালীন স্বৈরশাসক ও সামরিক জান্তারা৷
কিংবদন্তি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রয়াত আলমগীর কুমকুমের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটি রাজপথে কবিতা-গান ও স্লোগানে প্রকম্পিত রেখেছে রাজপথ৷ আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী৷ আর এ উপলক্ষে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তাজুল ইসলাম মাসুম বলেছেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সাথে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত।’
এক শুভেচ্ছাবার্তায় মাসুম বলেন,’দেশের এক চরম সঙ্কটময় মুহুর্তে কালের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের জন্ম। তৎকালীন সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের শাসনামলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ছিল কোনঠাসা৷ তাদের সভা-সমাবেশের ওপর ছিল কার্যত নিষেধাজ্ঞা৷ প্রতিবাদের উপায় খুঁজে না পাওয়া ক্ষুব্ধ জনসাধারণের স্বভাবতই ছিল দিশাহারা৷
ঠিক সেই মুহুর্তে ‘বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট’ নামক আলোর মশাল প্রজ্জ্বলিত করেন কিংবদন্তি নির্মাতা প্রয়াত আলমগীর কুমকুম৷ তার সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে ১৯৮০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় সংগঠনটি৷ এরপরের ইতিহাস ত্যাগ, সংগ্রাম, লড়াই, পরিশ্রম ও সাফল্যের।’
মাসুম আরো বলেন, ‘পরপর দুই স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত রাখে৷ সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকা গানে আর কবিতায় সাড়া জাগানো হয় রাজপথে৷ আর সেই কর্মযজ্ঞের পথ ধরেই আসে সাফল্য, পতন ঘটে স্বৈরশাসকের।’
মাসুম আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ টানা তিন মেয়াদে রাষ্ট্রক্ষমতায়৷ বঙ্গবন্ধুকন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে৷
তার হাতকে শক্তিশালী করতে ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন বেগবান করে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সম্মানিত সভাপতি, খ্যাতিমান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, নাট্যজন ফাল্গুনী হামিদ ও সংস্কৃতিমনা তুখোড় রাজনীতিবিদ, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের প্রতিটি নেতাকর্মী মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উজ্জীবিত৷ আমরা বিশ্বাস করি, সাংস্কৃতিক মুক্তিই একটি জাতিকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির সমৃদ্ধি ছাড়া কোনো জাতি উন্নতি করতে পারে না।’
বর্তমান সংস্কৃতিবান্ধব সরকার বাঙালিয়ানাকে ধারণ করে আবহমান বাংলার শাশ্বত সংস্কৃতির চিরচেনা রূপ ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর৷ সেইসাথে আমরা চাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নয়নের বার্তা তৃনমূলে ছড়িয়ে যাক৷ আর সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
মাসুম আরো বলেন, ‘করোনা মহামারিজনিত কারণে সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশও কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। এই অতিমারিকালে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী৷ আনন্দময় এই দিনটি উপলক্ষে সংগঠনের সকল স্তরের নেতাকর্মী, শুভানুধ্যায়ী, পৃষ্ঠপোষকসহ সমগ্র দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। মুক্তিযুদ্ধের চার মূলনীতিকে ধারণ করে আমাদের সংগঠন অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন করবে, সেই কামনাই করছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু৷