নিজস্ব প্রতিনিধি, রাহাদঃ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আসন্ন। এই নির্বাচনকে ঘিরে জমে উঠেছে অনেক জল্পনা-কল্পনা। আওয়ামী লীগের তৃণমূল কর্মীরা চাচ্ছেন কুতুবপুর ইউনিয়নের একজন ত্যাগী কর্মী কে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী করতে।
সেই লক্ষ্যে ৫/১০/২১ ইং তারিখ মঙ্গলবার সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে নৌকার মাঝি হতে দলীয় মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহ করেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমানের অত্যন্ত আস্থাভাজন প্রিয় ব্যক্তি, বিএনপির শাসনামলে রাজপথের ত্যাগী নির্যাতিত নেতা কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক, মোঃ আব্দুল খালেক মুন্সি।
মনোনয়নপত্রটি মোঃ আব্দুল খালেক মুন্সির পক্ষে সংগ্রহ করেন কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ৫ নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী, বিশিষ্ট সমাজসেবক মোঃ নজরুল ইসলাম।
এ সময় মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, মোঃ আব্দুল খালেক মুন্সি ভাই ১৯৮৬-৮৮ ইং সালে ডেমরা থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন, ১৯৯২ ইং সালে নারায়ণগঞ্জ কোর্টে বিএনপি’র ক্যাডারদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন, ১৯৯৩ ইং সালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন, ১৯৯৪- ১৯৯৬ ইং সালে বিএনপির শাসনামলে দীর্ঘ ২৬ মাস কারাগারে ছিলেন, এরপর নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমানের হাত ধরে ২০০১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কুতুবপুর তৃণমূল আওয়ামী যুবলীগ এর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন, ২০০১-২০০৬ ইং সাল পর্যন্ত বিএনপি’র ক্যাডার বাহিনী তার নিজস্ব বাড়িতে বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়ে তার পরিবারের উপরও নির্যাতন করে। ২০০৭ সালে কেয়ারটেকার গভমেন্ট এর আমলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ গুলিস্তান পার্টি অফিসের সামনে থেকে (RAB) এর হাতে অ্যারেস্ট হয়। বহুবার কারা নির্যাতিত হয় আমার নেতা মোঃ আব্দুল খালেক মুন্সি ভাই। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তৃনমূল আওয়ামী লীগকে যথাযথ মূল্যায়ন করবেন। আমরা দৃঢ় আশাবাদী নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমান এমপি মোঃ আব্দুল খালেক মুন্সি ভাইয়ের মতো তৃণমূলের এমন একজন ত্যাগী নেতা কে মূল্যায়ন করে আসন্ন কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে নৌকার মাঝি করে মনোনয়ন দিবে। উল্লেখ্য, একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি গরিব, দুঃখী অসহায় মানুষের পাশে জননেতা এমপি শামীম ওসমান এর নির্দেশনা অনুযায়ী মানব সেবা পৌছে দিয়েছেন। করোনা দুর্যোগ কিংবা জলাবদ্ধতার সময় এমপি শামীম ওসমানের সহধর্মিনী নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান সালমা ওসমান লিপি ভাবির পরামর্শ অনুযায়ী কুতুবপুরের জনগণের মাঝে সার্বিক সহযোগিতায় সর্ব সময় পাশে ছিলেন। আমি শতভাগ বিশ্বাসী মোঃ আব্দুল খালেক মুন্সি ভাই কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেলে কুতুবপুর ইউনিয়নের অবঞ্চিত আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিনের বিএনপি’র শাসন শোষণ থেকে মুক্তি পাবে এবং নৌকা কে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করবে ইনশাল্লাহ। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।