আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ১১ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন পত্র বিক্রি হয় এবং ১৫ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষে ১৮ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই এ বৈধ প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে জেলা নির্বাচন কমিশন।
আসন্ন জেলা পরিষদের নির্বাচনে ২ নং ওয়ার্ড থেকে সদস্য প্রার্থী হয়েছেন জেলা পরিষদের সাবেক সফল সদস্য, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক, করোনাযোদ্ধা মোস্তফা হোসেন চৌধুরী। রোববার মনোনয়ন পত্র বাছাইয়ে তাঁর মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
তিনি আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমানের অত্যন্ত আস্থাভাজন প্রিয় ব্যক্তি।
মোস্তফা চৌধুরী সম্পর্কে জানা গেছে, করোনাকালীণ সময়ে যখন অনেকেই ঘরে বসে ছিলেন তখন মানবতার সেবায় এগিয়ে আসেন সাহসী এ করোনাযোদ্ধা। মানুষের ঘরে খাবারা পৌছে দেয়া, অসহায়দের সাহায্য করা, মৃত ব্যক্তিদের দাফনসহ জনসেবামূলক নানা কাজে নিয়োজিত ছিলেন তিনি। টিম মোস্তফা-১৯ নামে একটি কুইক রেসপন্স টিমও গঠন করেছিলেন এ নেতা।করোনাকালীণ সময়ে মৃতদেহ দাফনসহ সকল সেবা দানকারী টিম মোস্তফা-১৯’ এর লিডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। মহামারী করোনার সময়ে বাবার লাশ যখন সন্তানরা ধরতো না, স্বামীর লাশ যখন স্ত্রী ধরতো না তখন নারায়ণগঞ্জবাসীর পাশে দাড়িয়েছে সর্বজনস্বীকৃত এ করোনা যোদ্ধা। একশ জনেরও বেশী মৃতদেহ দাফন করে অবশেষে স্বস্ত্রীক মরণঘাতি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হন তিনি।
এছাড়াও গোটা নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগসহ সকল দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগনের কাছে সজ্জন, সৎ চরিত্রবান, সদা হাস্যজ্জল ও সদালাপি একজন ব্যক্তি হিসাবে বিশেষ খ্যাতি রয়েছে তার। যে কারো বিপদের কথা শুনলেই সাহায্যার্থে এগিয়ে আসেন মোস্তফা চৌধুরী এমনটিই জানা যায় মোস্তফা চৌধুরী সম্পর্কে। এককথায় নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে গরীব দুঃখী মেহনতী মানুষের পরম বন্ধু হিসাবে পরিচিত বিশিষ্ট এ সমাজ সেবক।
শুধু তাই নয়, জেলা পরিষদ ২ নং ওয়ার্ডের আওতাধীন কুতুবপুর, ফতুল্লা এবং এনায়েত নগর ইউনিয়নের রাস্তাঘাট মেরামত, মসজিদ মাদ্রাসা ও কবরস্থান উন্নয়নে তার ভূমিকা ছিল অপরিসীম। এমনকি জলাবদ্ধতা নিরসনেও তার ভূমিকা ছিল।
দীর্ঘ সময় সামনের সারিতে দাড়িয়ে দলীয় কর্মসূচী বাস্তবায়ন ও বিগত সময়ে পরিষদের দায়িত্ব পালনের কারনে সদর উপজেলাধীন সাত ইউনিয়ন ও বন্দর উপজেলাধীন পাঁচ ইউনিয়নের সকল জনপ্রতিনিধি, জেলার সকল নেতৃবৃন্দের কাছে বেশ পরিচিত ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব তিনি।
শুধু আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীই নয় বরং গোটা নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে দলমত নির্বিশেষে সর্বজন স্বীকৃতি ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি হিসাবেই পরিচিত মোস্তফা চৌধুরী।
উল্লেখ্য, জেলা পরিষদের গত নির্বাচনেও বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করে অত্যন্ত সফলতার সহিত সদস্য পদে কাজ করেছেন তিনি।
পুনরায় নির্বাচিত হলে অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করায় তার মূল লক্ষ্য।