
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা মহানগর দক্ষিণের প্রতিটি থানা এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাউন্সিল সমাবেশে তৃণমূল পর্যায়ে মূল্যায়ন করার জন্য যথাযোগ্য ব্যবস্থা নিয়েছেন।
সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি, আলহাজ্ব আবু আহমেদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ কমিটি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের প্রতিটি ওয়ার্ডে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কদমতলী থানা ত্রিবার্ষিক সম্মেলন ২৬ই সেপ্টেম্বর সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ৬০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী বেশ কয়েকজন।
৬০ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মীদের মাধ্যমে জানা যায়, দীর্ঘ রাজনৈতিক ত্যাগের বিচারে
৬০ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সভাপতি পদপ্রার্থী হিসেবে সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোঃ ওয়াসি উদ্দিন শেখ নূরানী, সনি ভূষণ দত্ত শনি এবং গোলাম মোস্তফা হাসমত এর মধ্যে।
এ ব্যাপারে প্রতিবেদকের সাথে বিশেষ সাক্ষাৎকারে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোঃ ওয়াসি উদ্দিন শেখ নূরানী বলেন, আমার রাজনৈতিক পরিচয়, আমি সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক বৃহত্তর ডেমরা থানা আওয়ামী লীগ, সাবেক সহ-সভাপতি, মাতুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী, সাবেক সভাপতি, ৭ নং ওয়ার্ড মাতুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। আমার এক ছেলে মোহাম্মদ তুহিন যুবলীগ করা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আরেক ছেলে তুষার কদমতলী থানা ৬০ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাবেক সদ্য সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। আমার পরিবার আওয়ামী লীগ পরিবার। জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৯৬-২০০১(ঢাকা-৪), ২০০৮-২০১৮, ঢাকা-৫ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান মোল্লাকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে মাতুয়াইল ও দনিয়া ইউনিয়নের নির্বাচনী কেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করি। ২০২০ ইং সালে এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুর পর ঢাকা-৫ উপনির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী অ মনিরুল ইসলাম মনুকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে কাজ করেছি। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস কে বিজয়ী করার লক্ষ্যে ৬০ নং ওয়ার্ডের দায়িত্ব পালন করি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে আমার রাজনৈতিক পথচলা শুরু। ১৯৯০ এর গণআন্দোলনের সক্রিয় ভূমিকা পালন করি এবং বহু হামলা মামলার শিকার হই। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫, ২০০১ থেকে ২০০৭ সালে বিএনপি, জামাত ১/১১ সরকার কর্তৃক বারবার নির্যাতিত এবং প্রতিহিংসার শিকার হই। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও জাতির পিতার আদর্শ থেকে দূরে সরে যাইনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন কে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি এবং ভবিষ্যতেও কাজ করে যাব। ২১ই আগস্ট এর গ্রেনেড হামলায় আহত হয়েছিলাম। সামাজিকভাবে আমি রায়েরবাগ বাইতুল সালাম জামে মসজিদের সভাপতি, শ্যামপুর কদমতলী যাত্রাবাড়ী থানা প্রেসক্লাবের সভাপতি, রায়েরবাগ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এবং কদমতলী থানা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি ২০১২-২০১৯ সাবেক সভাপতির দায়িত্বে ছিলাম। আমি দৃঢ় আশাবাদী বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূলের ত্যাগ এবং যোগ্যতার বিচারে ৬০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে আমাকে নির্বাচিত করবে।
এই ক্যাটাগরীর আরও খবর..