যতই সম্মেলনের দিনক্ষণ এগিয়ে আসছে ততই খুলনা মহানগর যুব মহিলা লীগের নেত্রী নাসরিন ইসলাম তন্দ্রার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জমছে। দলীয় হাইকমান্ড বিষয়টি নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে। তার র্দীঘদিনের আওয়ামী রাজনীতির কেরিয়ার নিয়ে বর্তমানের অপকর্মের হিসাবনিকাশ শুরু করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রাজনীতির ধারাবাহিকতায় সে খুলনা মহানগর যুব মহিলা লীগের সাধারন সম্পাদক হতে আগ্রহী। প্রশ্ন হচ্ছে, নাসরিন ইসলাম তন্দ্রা খুলনা মহানগর যুব মহিলা লীগের সাধারন সম্পাদক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন কিনা? সমপ্রতি সে খুলনা মহানগরের যুব মহিলা লীগের সাধারন সম্পাদক হওয়ার জন্য তদবীর করে বেড়াচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নাসরিন ইসলাম তন্দ্রা আওয়ামীলীগর রাজনীতির সার্ইনবোর্ড ব্যবহার করে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। সে বিভিন্ন শিল্পপতির কাছ থেকে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। টাকা না দিলে তাকে ব্লাকমেইলিং করা হয়।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা এ প্রতিবেদককে বলেন, যদি খুলনা মহানগর যুব মহিলা লীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে নাসরিন ইসলাম তন্দ্রাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় তাহলে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। খুলনা মহানগর স্থানীয় আওয়ামী লীগর নেতাকর্মীরা বলছেন, দল যুব মহিলা লীগের সাধারন সম্পাদক পদের যোগ্য প্রার্থিকেই মনোনীত করবেন।
বিশস্ত সূএে জানা গেছে, নাসরিন ইসলাম তন্দ্রা বিয়ে করেছেন একাধিক। তার বর্তমান স্বামী বাবুল। জানা গেছে, নাসরিন ইসলাম তন্দ্রার কাজ হচ্ছে তদবীর বাণিজ্য করা। তদবীর বাণিজ্য করে সে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। তদবিরে কাজ না হলে সে টাকা ফেরত দেয় না। টাকা চাইলেই তাকে ব্লাকমেইলিং করা হয়। খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, নাসরিন ইসলাম তন্দ্রার নিয়ন্ত্রনে আছে এক ঝাক বিভিন্ন বয়সের কলগার্ল। যাদের কাজ হচ্ছে দেহ ব্যবসা করা। শিল্পপতিদের পছন্দ মতো নারী সাপ্লাই করেও সে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। খুলনা মহানগরের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, দলের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে যারা অসামাজিক কাজে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত। নাসরিন ইসলাম তন্দ্রাকে আওয়ামীলীগের রাজনীতি থেকে বহিষ্কার করা উচিত। কারণ সে যুব মহিলা লীগের সুনাম নষ্ট করবে।
এ বিষয়ে আমাদের প্রতিনিধি নাসরিন ইসলাম তন্দ্রার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আমি খুলনা মহানগর যুব মহিলা লীগের সাধারন সম্পাদক পদে যোগ্য প্রার্থী। আপনারা সংবাদিক সঠিক তথ্য জেনে পত্রিকায় লিখবেন।