নিজস্ব প্রতিবেদক, মোঃ রাকিবঃ মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ চার রাস্তার মোড় সংলগ্ন কাটাশুর মৌজার ৭৮ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছে। যার একপক্ষে রয়েছে ঐ এলাকার কিছু সাধারণ মানুষ, যারা ক্রয় সুত্রে জমির মালিকানা দাবিদার। দ্বিতীয় পক্ষে দখলদারি সুত্রে রয়েছে শীর্ষ সন্ত্রাসী কারাবন্দী ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে ( পিচ্চি হেলাল) । এ বিষয়ে আদালতে একটি দেওয়ানীমামলা চলমান। উক্ত মামলার নং ৪১৩/২০২২।
যার দরুন পিচ্চি হেলালের সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা ক্রয় সুত্রে জমির মালিকেরা বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও হামলার শিকার হচ্ছে, এবং এলাকায় শুরু হচ্ছে বিশৃঙ্খলা, ভোগান্তি হচ্ছে সাধারণ মানুষের। কিন্তু কেউ ই কোনো প্রতিবাদ করতে পারছেনা ভয়ে।
গত ৩০শে জানুয়ারী উক্ত এলাকার মোঃ সুমন মিয়া নামের একজন ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী বিশৃঙ্খলাকারি দের প্রতিবাদ করতে গেলে দখলের দ্বায়িত্বে থাকা বি এন পি নেতা তেরেনাম বাবু, পিচ্চি হেলালের ক্যাডার বাহিনীর প্রধান দোলন, পিচ্চি হেলালের আপন বড়ভাই চাঞ্চল্যকর কমিশনার রাজু হত্যা মামলার প্রধান আসামি দীপু, পিচ্চি হেলালের একান্ত সহযোগী লালা, আমিনুল ইসলাম। এরা সবাই মিলে ব্যাবসায়ী সুমনের সাথে খুবই খারাপ আচরণ করে এবং মারধর করে।
কিছুক্ষন পরই সাবেক যুবদল নেতা জাহিদ মোড়ল ও দোলনের নেতৃত্বে তেরেনাম বাবু, ট্যাগরা রোমান, বাচ্চা রিপন সহ ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি গ্রুপ ব্যাবসায়ী সুমন মিয়ার বাসায় দেশীয় অস্ত্র ও বোমা সহ প্রবেশ করে ব্যাপক ভাংচুর ও ককটেল বোমা নিক্ষেপ করে এবং পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এতে সুমনের পরিবার সহ এলাকার নিরীহ জনগণের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে করা হয়েছে। মামলা নং ৮৪০(৫)/৫ এলাকাবাসী আরও জানায়- ৩৩ নং ওয়ার্ড এর সাবেক কাউন্সিলর মোঃ তারেকুজ্জামান রাজিব যখন কারাগারে ছিলেন তখন রাজিবের সাথে শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলালের সখ্যতা গড়ে উঠে, এবং পিচ্চিহেলালের ছত্রছায়ায় ই রাজিব জেলখানায় আরাম আয়েশে কাটিয়েছেন। এখন জেল থেকে বের হয়ে আসার পর পিচ্চি হেলাল ও রাজিব একত্রিত হয়ে মোহাম্মদপুর নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
এলাকাবাসী আরও জানায়, বহু বছর ধরেই পিচ্চি হেলাল বাহিনীর অনেক ভয়ংকর তান্ডব দেখেছি এবার মুক্তি চাই।