মোঃ আব্দুল খালেক মুন্সীঃ ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট যেভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল ঠিক সেভাবে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যার প্রচেষ্টা চালানো হয়। বিশেষ করে ২১ সে আগস্ট এর ঘটনা ভোলা যায় না। সেদিন আমিও ছিলাম ওখানে আল্লাহর রহমতে বেঁচে গিয়েছি। একজন দেশনেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কিভাবে ক্ষমতায় থাকাকালীন হুমকি দেয় আমার বুঝে আসেনা। রাজশাহীর ওই বিএনপি’র কুলাঙ্গার নেতাকে আপনারা জানতে পেরেছেন গ্রেফতার করা হয়েছে। একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে আবু সাঈদ এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
প্রতিবেদকঃ আপনি তো কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একজন দুর্দিনের ত্যাগী নেতা হিসেবে সুনামের সাথে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত, বর্তমান কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ পরিস্থিতি কি পর্যায়ে আছে?
মোঃ আব্দুল খালেক মুন্সীঃ সরষের ভিতরই ভূত, ভূত ছাড়াবে কে? আমাদের নেতাদের কাছে জানাতে চাই, এখনো সময় আছে আওয়ামী লীগের কর্মীদের পাশে রাখেন। হাইব্রিডদের পরিত্যাগ করেন। হাইব্রিড আওয়ামী লীগকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। একটু মাঠ পর্যায়ে হাইব্রিড আওয়ামী লীগের খবর নেন? না হলে আমাদের মতো ত্যাগী কর্মীরা হারিয়ে যাবে। আমরা কিছু চাইনা। শুধু নেতাদের ভালোবাসা চাই।
প্রতিবেদকঃ বর্তমানে কুতুবপুর ইউনিয়নে বিএনপির অবাধ বিচরণ এই ব্যর্থতার দায় তৃণমূলের একজন নেতা হিসেবে কাকে দিবেন?
মোঃ আব্দুল খালেক মুন্সীঃ এটা আমাদের ভাগ্য। আওয়ামী লীগ সরকার এবার তিন ট্রাম ক্ষমতায়। ৯১ সালে যখন বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল তখনো এত সাহস পায়নি বিএনপি। কোনো মিটিং মিছিলের ও সাহস পায়নি। তবে আমাদের দেশনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন আওয়ামী লীগের ত্যাগী কর্মীরা অভিমানী হতে পারে বেইমান হয় না। সময় হলে আবারও প্রমাণ হবে।
প্রতিবেদকঃ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ- ৪ আসন সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমান এমপিকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করার জন্য কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কে এ পর্যায়ে কোন পথে এগিয়ে যাওয়া দরকার?
মোঃ আব্দুল খালেক মুন্সীঃ যত নির্বাচন দেখেছি এই কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সব সময় এক, এখনো এক আছে। হয়তো কারো মনে কষ্ট থাকতে পারে। কিন্তু এই কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সব সময় নির্বাচন কালীন সময়ে এক হয়ে যায়। কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয় কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। নৌকার বিজয় হবেই হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাওয়ার জন্য এবং নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ কে এম শামীম ওসমানের একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে রাজপথের লড়াই সংগ্রামে আছি থাকবো।
প্রতিবেদকঃ কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের একজন ত্যাগী নেতা হিসেবে আপনি কতটুকু মূল্যায়িত হতে পেরেছেন?
মোঃ আব্দুল খালেক মুন্সীঃ একসময় সবাই বলতো কুতুবপুর ইউনিয়নের একজন ত্যাগী কর্মী মোঃ আব্দুল খালেক মুন্সী। ১৯৮৮ ইং সাল থেকে ২০২২ ইং সাল পর্যন্ত সকলের কাছেই ত্যাগী কর্মী ছিলাম। ২০২৩ ইং সালে এসে অনেকের কাছেই খারাপ হয়ে গেছি। একজন ত্যাগী কর্মী হিসেবে এর চেয়ে বড় দুঃখ নেই। জয় বাংলা স্লোগান শুনলে এখনো ঘরে বসে থাকতে পারিনা। নৌকা আমার রক্তে মিশে রয়েছে। পরিশেষে বলতে চাই, কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সকলের উদ্দেশ্যে আমার একটাই চাওয়া আগামী সংসদ নির্বাচনে আসুন সকলে একত্রিত হয়ে নৌকার বিজয়ের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি। বিএনপি জামাতের নৈরাজ্য প্রতিহত করতে কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সব সময় শক্তিশালী তার প্রমাণ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আবারো প্রমাণিত হবে ইনশাল্লাহ।