ষ্টাফ রিপোর্টার:
এসি ল্যান্ডের অফিসারের গাড়ী চালকের চাকুরী করায় বিধায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করে এলাকার লোকজনের নিকট হইতে চাঁদাবাজি সহ মারধর করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ভুইগড় পশ্চিমপাড়া এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে রনির বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী একই এলাকার মো.দলিলউদ্দিনের ছেলে মো.জসিমউদ্দিন বিবাদীর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও ফতুল্লা মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ভুইগড় পশ্চিমপাড়া এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে রনি এ.সি ল্যান্ডের প্রভাব দেখিয়ে বিভিন্ন লোকজনকে মিথ্যা মামলার হুমকি প্রদান করে ও বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন অবৈধ ফেক্টোরির নিকট হইতে মাসিক মাশোয়ারা নিয়া তাহাদের শেল্টার দেয়।
বিবাদী রনি অদ্য ১৭ এপ্রিল সকাল সোয়া ৮টায় আমি ফতুল্লা থানাধীন ভূইগড় পশ্চিম পাড়া ক্যানেলপাড় সাকিনস্থ আমার নিজ মালিকানা সম্পত্তিতে থাকা পুকুরে মাছ ধরিতে থাকাবস্থায় বিবাদী আসিয়া আমাকে বাধা প্রদান করিয়া জানায় যে, যদি আমি মাছ ধরিয়া বিক্রয় করি তাহা হইলে তাহাকে টাকা দিতে হবে।
এতে আমি রাজি না হইলে বিবাদী আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করিতে থাকে। আমি বিবাদীকে গালি গালাজ করিতে বারণ করিলে বিবাদী মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন ডেকে এনে আমাকে এলোপাতারি মারধর করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম করে।
আমার ডাক চিৎকার গুনিয়া আশে পাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদী আমার সাথে থাকা মোবাইল ফোন যাহার আনুমানিক মূল্য ৪০ হাজার টাকা, ৮ আনি ওজনের স্বর্ণের চেইন ও ডান পকেটে থাকা নগদ ১৬,৫৭৫/- টাকা ছিনিয়ে নিয়ে আমাকে জানায় যে, যদি আমি আমার সম্পত্তি হইতে কোন প্রকার মাছ ধরিয়া বিক্রয় করি তাহলে বিবাদীকে প্রতি মাসে টাকা দিতে হবে।
আর যদি আমি এ ব্যাপারে বেশি বাড়াবাড়ি করি বা কোথাও কোন প্রকার অভিযোগ করি তাহা হইলে আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়া হয়রানি করিবে সহ প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে। বিবাদীর এরূপ কার্যকলাপে আমি দারুণভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি। বিবাদী রনির বিরুদ্ধে এলাকার বিভিন্ন লোকজনের নিকট একাধিক অভিযোগ রহিয়াছে।
বিবাদী রনি এসি ল্যান্ডের গাড়ী চালকের প্রভাব দেখানোর কারনে কেহ তাহার বিরুদ্ধে ভয়ে কোন প্রকার অভিযোগ করিতে চায় না। এমতাবস্থায় আমি কোন প্রকার উপায়ন্তর না পেয়ে নিজের এবং পরিবারের সকলের নিরাপত্তার জন্য জেলা প্রশাসক ও ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।