রাহাদ হোসেনঃ “দিন যায় কথা থাকে, স্মৃতি বড়ই বেদনাদায়ক।” ফতুল্লা থানা বিএনপির স্বচ্ছ, ক্লিন ইমেজের একজন ত্যাগী রাজনীতিবিদ, শহিদুল ইসলাম টিটু।
ফতুল্লা থানা বিএনপি’র সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু সম্পর্কে, তারই একজন রাজপথের কর্মী, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র ৫ নং ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, মোঃ শাজাহান মিয়া জানান, রাজপথের লড়াই সংগ্রাম আন্দোলনে বিএনপির প্রতিটি মিটিং মিছিল সফল করতে শহিদুল ইসলাম টিটু ভাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী রাজপথে ছিলাম, আছি, পাশে থাকবো। আওয়ামী লীগের শাসনামলে, জেল জুলুম সহ্য করেও আমাদের প্রিয় নেতা শহিদুল ইসলাম টিটু ভাই আমাদেরকে আগলে রেখেছিলেন। আওয়ামী লীগের দুঃশাসন প্রতিহত করতে একজন অকুতোভয় সৈনিক, আমাদের প্রিয় নেতা শহিদুল ইসলাম টিটু ভাই। বর্তমানে আমার নেতা চোখের অপারেশন জনিত কারণে অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, আপনারা সকলে জানেন, ২৯ ই জুলাই ২০২৩ ইং সালে নারায়ণগঞ্জে বিএনপি ও পুলিশের মধ্যকার সংঘর্ষে পুলিশের ছররা গুলিতে দৃষ্টিশক্তি হারাতে বসেছিলেন, আমার প্রাণপ্রিয় নেতা ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটু ভাই। পুলিশের ছোড়া গুলিতে তার দু’টি চোখই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সেদিন। অস্ত্রোপচারের পরও বাম চোখে কিছুই দেখেননি তিনি। এই চোখে দৃষ্টি ফিরে পাবেন কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন না চিকিৎসক।ডান চোখে তখনও একটি গুলি ছিল।
উক্ত সময়ে, আমার নেতার, বাম চোখের অস্ত্রোপচার করেছেন ডা. নিয়াজ আব্দুর রহমান, সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘তাঁর সারামুখেই গুলি লেগেছে। বুলেট তাঁর বাম চোখের এফোর-ওফোর হয়ে গিয়েছিল।ওই চোখের অপারেশন করে বুলেট বের করা হয়েছে। তার ওই চোখে দৃষ্টিশক্তি ফিরবে কিনা সেজন্য অন্তত ছয় মাস অপেক্ষা করতে হবে৷ তবে দৃষ্টি ফেরার সম্ভবনা খুবই কম।আর ডান চোখে লেজার করা হয়েছে। চোখ তো খুবই সেন্সেটিভ অঙ্গ। তাই ওই চোখে ঠিক কোথায় গুলিটি আছে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তা দেখার পর এ ব্যাপারে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে, গত ২৯ জুলাই ২০২৩ ইং রাজধানীর প্রবেশমুখ গুলোতে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থান নেওয়ার পরিকল্পনা করে নারায়ণগঞ্জের বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। উক্ত সময় আমি মোঃ শাহজাহান মিয়া ও ওই কর্মসূচিতে শহিদুল ইসলাম টিটু ভাইয়ের নেতৃত্বে ছিলাম। বেলা ১২টার দিকে শিমরাইল এলাকায় ডাচ বাংলা ব্যাংকের মোড় দিয়ে মহাসড়কে উঠতে গেলে জেলা গোয়েন্দা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের বাধার মুখে পড়ে আমাদের বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে বিএনপির সাথে সংঘর্ষ বাধে। বিএনপি নেতা-কর্মীদের ঢিলের বিপরীতে গুলি ছোড়ে পুলিশ। আল্লাহর রহমতে সেদিন প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলাম। উক্ত সময় এই ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা এক মামলায় পুলিশ উল্লেখ করেছিল, বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে মোট ৭১ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়েছে পুলিশ।পুলিশের লাঠিচার্জ ও গুলিতে বিএনপির অন্তত ১৫ জন নেতা আহত হন। আমার নেতা, শহিদুল ইসলাম টিটু ভাই, সেদিন দুই চোখসহ, তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ছোড়া শর্টগানের ১০টি ছররা গুলিতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।
সর্বশেষে শাহজাহান মিয়া জানান, আমার নেতা একজন বিপ্লবী সাহসী, কর্মীবান্ধব নেতা। আল্লাহর অশেষ রহমতে, ৫ ই আগস্ট এ আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়েছে। আমার নেতা ওই ঘটনার পরেও বহু জেল-জলুম অত্যাচারের শিকার হয়েছেন, আওয়ামী জালেম সরকারের মাধ্যমে। বর্তমানে, তার চোখের দৃষ্টিশক্তিতে অসুবিধা হওয়াতে পুনরায় ডাক্তারের সুচিকিৎসা নিচ্ছেন এবং অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সকলে দোয়া করবেন আমার নেতা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠে।